Arpita Mukherjee: ‘কোটি কোটি টাকা পার্থ দার’, ইডির জেরায় জানালেন অর্পিতা: সূত্র
Arpita Mukherjee: হরিদেবপুর থেকে ২২ কোটি আর বেলঘরিয়া থেকে ২৮ কোটি। সেই সঙ্গে কয়েক কেজি সোনা। এই তথ্য নাকি ছিল না অর্পিতার কাছে!
কলকাতা : গত শুক্রবারের পর বুধবার ফের একই দৃশ্য। রাশি রাশি টাকার পাহাড়। সেই সঙ্গে বেলঘরিয়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনাও। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করেই এই সব তথ্য পেয়েছেন আধিকারিকরা। সেই সূত্র ধরেই বেলঘরিয়া ক্লাব টাউন অভিযান। তবে বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট যে হরিদেবপুরকেও ছাপিয়ে যাবে, তা বোধ হয় ইডি অফিসারদের কাছেও প্রত্যাশিত ছিল না। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৮ কোটি টাকা। তবে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, অর্পিতা নাকি জেরার মুখে দাবি করেছেন, কত টাকা রাখা আছে, তা তাঁর জানাই ছিল না। যে ঘরে টাকা রাখা হত, সেই ঘরে নাকি প্রবেশও করতেন না তিনি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে এই বিপুল টাকার হদিশ মিলেছে অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই। জেরার মুখে অর্পিতা নাকি জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাঝে মধ্যেই যেতেন বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটগুলিতে। উদ্ধার হওয়া টাকা যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সে কথাও জানিয়েছেন অর্পিতা। কিন্তু পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দাবি, ঘরে টাকা রাখার কথা তাঁর জানা থাকলেও, কত টাকা রাখা ছিল, কী কারণে টাকা রাখা হত, সেটা তিনি জানতেন না। ঘরে প্রবেশের অধিকারও নাকি তাঁর ছিল না। যদিও অর্পিতার এই দাবি, মানতে চাইছেন না ইডি আধিকারিকরা। যাঁর ফ্ল্যাটে এত টাকা, গয়না রাখা, তিনি কি সত্যিই কিছু জানতেন না?
অর্পিতা যখন জানতেন না বলে দাবি করেছেন, তখন ওই টাকা রাখত কারা? অর্পিতা জেরায় জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই কিছু লোকজন পাঠাতেন, যাঁরা এসে ওই ঘরে টাকা রেখে যেতেন। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, নিজেকে বাঁচাতেই এখন অর্পিতা এই সব দাবি করছেন। তাঁর কথায় পাত্তা দিতে নারাদ তদন্তকারীরা।
হরিদেবপুর আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে যা টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা যোগ করলে হয় মোটামুটি ৫০ কোটি টাকা। আর সঙ্গে কয়েক কেজি সোনা। এ সব কিছু জানা ছিল না অর্পিতার, তা মানতে পারছেন না ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, অর্পিতা সবই জানতেন। অর্পিতা চারটে কোম্পানির ডিরেক্টরও ছিলেন। উল্লেখ্য, ইডি-র কাছে এমন তথ্যও এসেছে যে ২০১২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন অর্পিতা।