Agnipath Scheme Protest: ‘কোনও বনধ-ই রাজ্য সমর্থন করে না’, সোমবারের ভারত বনধ নিয়ে থানা-পুলিশকে তৈরি থাকার নির্দেশ নবান্নর

Agneepath Scheme: নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, নীতিগত কারণে কোনওরকম 'স্ট্রাইক' বা 'বনধ'কে রাজ্য সমর্থন করে না।

Agnipath Scheme Protest: 'কোনও বনধ-ই রাজ্য সমর্থন করে না', সোমবারের ভারত বনধ নিয়ে থানা-পুলিশকে তৈরি থাকার নির্দেশ নবান্নর
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় ভারত বনধ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2022 | 8:14 PM

কলকাতা: সোমবার সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথমদিনই ভারত বনধের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বনধ ঘিরে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, তার জন্য সমস্ত থানা, জেলা প্রশাসনকে প্রস্তত থাকার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ডিভিশনাল কমিশনার, প্রতিটি থানার আইসি, প্রতিটি জেলার পুলিশসুপারকে। রবিবারই এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জারি করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, নীতিগত কারণে কোনওরকম ‘স্ট্রাইক’ বা ‘বনধ’কে রাজ্য সমর্থন করে না। ২০ জুন বেশ কয়েকটি সংগঠন ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। তাতে জনজীবন যাতে কোনওভাবেই প্রভাবিত না হয় তা নজরে রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি সরকারি অফিসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেন্দ্র সরকারের অফিসগুলিতেও একইভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনওভাবেই যাতে কোনও জমায়েতের জন্য ট্রাফিকের সমস্যা না হয়, তা নজরে রাখতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এই প্রকল্প অনুযায়ী, মেধাভিত্তিক নিয়োগ হবে সেনায়। এই প্রকল্পের তরুণরা ‘অগ্নিবীর’ হিসাবে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগও পাবেন। প্রশিক্ষণপর্ব-সহ চার বছরের মেয়াদে এই প্রকল্প। অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার সময় সশস্ত্র বাহিনীতে যাবতীয় নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়ঃসীমা স্থির হয়েছিল সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছর।

অবশ্য, গত দু’ বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্ভব না হওয়ার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে সরকার ২০২২-এ প্রস্তাবিত নিয়োগের জন্য বয়সে এককালীন ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই অনুসারে, ২০২২-এ অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৩ বছর করা হয়। অনেকেরই অভিযোগ, এই প্রকল্পে অবসর পরবর্তী সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ নেই। এ ছাড়া চার বছর পর অবসরপ্রাপ্তদের কী হবে তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এরপরই বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন, অবরোধ, ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটছে।