Calcutta University: সোনালির অপসারণের পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আশিস চট্টোপাধ্যায়
Calcutta University: নিয়ম বহির্ভূতভাবে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্বহাল করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
কলকাতা : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উপাচার্য পদ থেকে সরানো হয়েছে সোনালি চক্রবর্তীকে। এবার সেই পদে দায়িত্ব সামলাবেন আশিস কুমার চট্টোপাধ্যায়। আগামী তিন মাস উপাচার্য পদে থাকবেন তিনি। আগামী তিন মাসের মধ্যে সার্চ কমিটি তৈরি করে নতুন উপাচার্যের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেই পর্যন্ত সহ উপাচার্য আশিসবাবুই উপাচার্য পদ সামলাবেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, সোনালি চক্রবর্তীকে উপাচার্য পদ থেকে সরানো হয়েছে। রাজ্য সরকার তাঁকে নিয়ম মাফিক তাঁকে উপাচার্য পদে পুনর্বহাল করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় আদালতে। সেই মামলায় আদালত নির্দেশ দেয়, সোনালি চক্রবর্তীকে সরাতে হবে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সোনালি চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত ২৭ অগস্ট। ওই দিনই নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, সোনালি চক্রবর্তীকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদেই পুনর্বহাল করা হবে। আইন মেনেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে জানায়। কিন্তু কেন কোনও রকম বাছাইপর্ব করা ছাড়াই সোনালি চক্রবর্তীকে উপাচার্য পদে পুনর্বহাল করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সোনালি চক্রবর্তীকে উপাচার্য পদে পুনর্বহালের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, উপাচার্য পুনর্বহালের আগে কোনও সার্চ কমিটি গঠন করা হয়নি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, রাজ্যপালেরও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এটা সর্বোতভাবে অসাংবিধানিক। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। অভিযোগ ওঠে, রাজভবনের সিলমোহর ছাড়াও মোট ২৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে রাজ্য। রাজভবনের অনুমোদন ছাড়া এই নিয়োগ কীভাবে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।