CM Mamata Banerjee: দেখতে থাকুন ওরা দেখবে আর লুচির মতো ফুলবে : মমতা
CM Mamata Banerjee: "তাপসী মালিকের মতো মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে। কৃষকদের পুড়িয়ে মেরেছে। টাটারা তো আমাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল নির্বাচনের সময়। আমরা কোনওদিন কিছু বলিনি। আমরা বলেছিলাম যেখানে জমি আছে তোমরা করো আমাদের আপত্তি নেই। বিকল্প জমি নাও।" জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
“কেউ কেউ বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। আমি টাটাকে তাড়িয়ে দিয়েছি, টাটা চাকরি দিচ্ছে। টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে। বুধবার শিলিগুড়িতে এ কথা বলতে শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়ো জোর তরজা চলছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। কটাক্ষবান শানিয়েছে বাম-বিজেপি। এবার জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধনে এসে ফের একবার সিঙ্গুর ইস্যুতে সরব হতে দেখা গেল মমতাকে।
KEY HIGHLIGHTS
- “তাপসী মালিকের মতো মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে। কৃষকদের পুড়িয়ে মেরেছে। টাটারা তো আমাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল নির্বাচনের সময়। আমরা কোনওদিন কিছু বলিনি।”
- “আমাদের একটাই দাবি ছিল জোর করে কৃষকদের দোফসলি, তিনফসলি জমি নেওয়া যাবে না। আমাদের ওই আন্দোলনই সারা ভারতের আইন হিসাবে অ্য়াকসেপ্টেড হয়েছে। আমরা বাংলায় আজও যদি কিছু করি, সব সময় আগে জমি দাতাদের কথা শুনি।”
- “অনেকে দেউচা-পচামীর সঙ্গে তুলনা করছেন। দেউচার প্রজেক্টে কয়েক লক্ষ ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা কেন্দ্র। গর্ব হওয়া উচিত।”
- “আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় কয়েকশো ছেলেমেয়েদের চাকরি দিয়েছি ওখানে। তাঁদের বাজ়ি করে দেওয়া হচ্ছে। এই শনিবার আরও তিনশো ছেলেমেয়েদের চাকরি দেওয়া হয়।”
- “আমরা জঙ্গলমহল সুন্দরী, ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্ট করছি। ডানকুনি থেকে পানগড়, পানগড় থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত ট্রেড করিডর হচ্ছে।”
- “ভারতবর্ষে ৪০ শতাংশ বেকার বেড়েছে। কর্মসংস্থান কমেছে। সেখানে বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়ে গিয়েছে। ৪০ শতাংশ দারিদ্রতা কমে গিয়েছে।”
- “আগামীতে আরও হবে। দেখতে থাকুন। ওরা দেখবে আর লুচির মতো ফুলবে। ফানুসের মতো উড়ে যাবে। করার ক্ষমতা নেই বড় বড় কথা।”
- “সৌরভ বাংলার ছেলে বলে আইসিসি-র চেয়ারম্যান হল না। শরদ পওয়ার ছিলেন, জগমোহন ডালমিয়া ছিলেন। সৌরভ এখানে বিসিসিআই-তে ছিল। সুপ্রিম কোর্ট সৌরভ আর অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল। এক জন থেকে গেল। এক জন বাদ চলে গেল। কী অপরাধ তাঁর?”
- “ভারত থেকে কারও নাম আইসিসি-তে পাঠায়নি। এটাই খেলা। দু’বছর অন্যকে সমর্থন করবে, তার পর নিজেদের লোক পাঠাবে। অন্যদের বেলায় পরিবার, ওদের বেলায় হরিদ্বার। লজ্জা করছে আমার।”