TET Recruitment Scam: ইন্টারভিউয়ে বসতেই হবে; অনড় পর্ষদ সভাপতি বললেন, ‘আমিও তো অনশনে বসতে পারি’

TET: নিয়োগ হবে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে। আরও একবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন গৌতম পাল।

TET Recruitment Scam: ইন্টারভিউয়ে বসতেই হবে; অনড় পর্ষদ সভাপতি বললেন, 'আমিও তো অনশনে বসতে পারি'
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2022 | 5:36 PM

কলকাতা: করুণাময়ীতে সোমবার থেকে ২০১৪ সালের টেট (TET) উত্তীর্ণরা (নট ইনক্লুডেড) ধরনায় বসেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ইতিমধ্যেই দু’বার তাঁরা ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তাই আর ইন্টারভিউয়ে বসবেন না। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকে সল্টলেকেই পাল্টা ধরনায় বসেছেন ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের দাবি, ২০১৪ সালের প্রার্থীরা যদি ইন্টারভিউয়ে বসেন তাহলে তাঁদের আসনে কোপ পড়বে। এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পর্ষদ সভাপতি আরও একবার জানিয়ে দিলেন ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় সকলকেই অংশ নিতে হবে। স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হবে বলে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, আইন ভেঙে যদি তাঁকে কিছু করতে হয়, প্রথা বহির্ভূত ভাবে, তা হলে তো তাঁকেও অনশনে বসতে হবে।

এদিন গৌতম পাল দু’পক্ষকেই বার্তা দেন, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। পর্ষদ কোনও একপক্ষকে অগ্রাধিকার দেবে না। একইসঙ্গে তিনি আবেদন জানান, অনশন তুলে নেওয়ার। পর্ষদ সভাপতি বলেন, “সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ আমরা নোটিফিকেশন দিয়েছি। তার আগে যে কোনও তারিখে যদি টেট পাশ করে থাকেন, ট্রেনিং-ডিগ্রি থাকে তাঁরা একই নম্বর পাবেন। আগে পরের কোনও ব্যাপার নেই।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাকে যদি আইন ভেঙে কিছু করতে বলা হয় তা হলে আমিও তো অনশনে বসতে পারি। চিরাচরিত যে আইন, আইনানুগ নয় এমন কাজ যদি আমাকে করতে হয়, তাহলে তো আমিও অনশনে বসব। তাঁরা যদি বলেন, তো আমিও তো অনশনে বসতে পারি, আমারও তো অধিকার আছে।”

গৌতম পালের কথায়, “২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে পর্যন্ত একবারও ইন্টারভিউয়ে বসেননি। কারণ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের ফল প্রকাশ হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৪ সালে প্রার্থীরা দু’টো রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে তাঁদের তো বাদ দিতে পারি না। বোর্ডের কাছে সব শ্রেণির টেট পাশ প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা একই সারিতে। আমরা কাউকে এগিয়ে দিচ্ছি না কাউকে পিছিয়েও দিচ্ছি না।”

এদিকে টেট প্রার্থীরা অনশনের কারণে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যা নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের প্রতিক্রিয়া, “অসুস্থ হয়ে পড়া অভিপ্রেত নয়। আমি তো বলছি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের প্রতি আমার ১০০ শতাংশ সহমর্মিতা আছে। আমি তো গতকালও বলেছি, আজকেও বলছি, অনশন তুলে নিন। সুস্থ থাকুন। প্রতিযোগিতায় অংশ নিন। শরীরে স্ট্রেস পড়লে কষ্ট হবেই। ওনারা ওখানে বসে আছেন, আপনারা ভাবছেন বোর্ড খুব খুশি। তা তো নয়। বারবার বোঝাচ্ছি আমরা।”

তবে দাবি যাই হোক নিয়োগের অন্যতম মাপকাঠি যে ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ তা আরও একবার এদিন জানিয়ে দেন গৌতম পাল। তাঁর কথায়, “কে কী বলছে তার উপর তো আমি কিছু বলব না। ধরুন ২০১২ সালের একজন বলছেন, আমি এবার ইন্টারভিউ দিয়েছি আর দেব না। চাকরি দিতে হবে। আবার ২০১৭ সালের কোনও ব্যক্তি বলছেন ইন্টারভিউ না দিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিতে হবে। ২০১৪ সালের কোনও ব্যক্তি বলছেন ইন্টারভিউয়ের দিন আমার জ্বর হয়ে গেছিল আসতে পারিনি, ইন্টারভিউ নিতে হবে না নিয়োগ দিয়ে দিন। কী করব? দেব? আমি সবসময়ই বলছি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে, অনশন তুলে নিতে।”