Ayan Sil: শুধু সিনে-পাড়াতেই নয়, হোটেল ব্যবসাতেও হাত পাকিয়েছিল ‘কীর্তিমান’ অয়ন!
Recruitment Scam: হোটেলের কর্মী অয়ন শীলকে কখনও দেখেননি বলে জানালেও, এই হোটেল সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে অয়নের বাড়ি থেকে। জানা যাচ্ছে, এই হোটেলটি চালাচ্ছিলেন অয়ন শীল
কলকাতা: শুধু সিনেমা বা সিরিয়ালেই নয়, টলিপাড়ার পাশাপাশি হোটেল ব্যবসাতেও হাত পাকিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীল (Ayan Sil)। সল্টলেকে একটি চারতলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে হোটেল চলছিল হোটেল। জানা যাচ্ছে একটি নামী হোটেল ব্যবসার চেনের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। অয়নের সল্টলেকের ভাড়া করা বাড়িতে হানা দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের (Enforcement Directorate) হাতে এই হোটেল সংক্রান্ত নথিও এসেছে বলে জানা গিয়েছে। খাতায় কলমে হোটেলের ব্যবসা দেখতেন শমীক চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি, যিনি অয়ন শীলের পার্টনার। কিন্তু মূল লগ্নি ও বাকি সব কিছু দেখতেন অয়ন। ওই হোটেলে খোঁজখবর নিতে গেলে সেখানকার এক কর্মী জানালেন, বাড়িটি লিজ নিয়ে চালানো হচ্ছে এবং এখন এই হোটেলটি চালাচ্ছেন শমীকবাবু। একতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত এই হোটেলে মোট ১৭টি ঘর রয়েছে অভিজাত এই হোটেলে।
হোটেলের এক কর্মী জানাচ্ছেন, কর্মচারীরাই সব দেখাশোনা করে। শমীক চৌধুরীও খুব একটা বেশি হোটেলে আসেন না। আর অয়ন শীলকেও তিনি কোনওদিন হোটেলে দেখেননি বলেই দাবি। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। প্রথমে তাঁর পরিচয় জানা যায়, একজন প্রোমোটার হিসেবে। নির্মাণ ব্যবসার কারবারের কথা জানা গিয়েছিল। পরে প্রকাশ্যে আসে অয়নের টলিপাড়ায় যোগাযোগের কথা। কিন্তু শুধু সিনেমা বা নির্মাণ ব্যবসাই নয়, এখন দেখা যাচ্ছে হোটেল ব্যবসাতেও লগ্নি করেছিলেন প্রোমোটার অয়ন। এই হোটেল ব্যবসায় লগ্নির টাকার সঙ্গে কি নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা জড়িয়ে রয়েছে? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
হোটেলের ওই কর্মী অয়ন শীলকে কখনও দেখেননি বলে জানালেও, এই হোটেল সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে অয়নের বাড়ি থেকে। জানা যাচ্ছে, এই হোটেলটি চালাচ্ছিলেন অয়ন শীল। তবে খাতায় কলমে হোটেলের কাজকর্ম দেখতেন শমীক চৌধুরী। সূত্রের খবর, এই শমীক চৌধুরী হল অয়নের পার্টনার এবং অয়নের একটি সংস্থায় শমীকবাবু ডিরেক্টরও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।