Youth Congress: অধীর ঘনিষ্ঠ শাহিনাকে পিছনে ফেলে যুব কংগ্রেস সভাপতি কালনার আজহার

Youth Congress: সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের তরফে শাহিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য কার্যত ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল দলের অন্দরে। তবে পরে কংগ্রেস এই খবর অস্বীকার করে।

Youth Congress: অধীর ঘনিষ্ঠ শাহিনাকে পিছনে ফেলে যুব কংগ্রেস সভাপতি কালনার আজহার
সাদা জামা পরে আজহার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2022 | 8:35 PM

কলকাতা : যুব কংগ্রেস সভাপতির লড়াইতে অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠকে পিছনে ফেলে দিলেন কালনার আজহার। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের যুব কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে আজহার মল্লিকের নাম ঘোষণা করা হল। ৩৯ হাজার ১২১ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শাহিনা দৌড়ে পিছনে পড়ে গিয়েছেন। ভোটের ভিত্তিতে আগেই শাহিনাকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন আজহার। আর এদিন দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের ইন্টারভিউতেও পাশ করে গিয়েছেন কালনার যুবক।

৩৯ হাজার ১২১ টি ভোট পেয়েছিলেন আজহার মল্লিক, ৩১ হাজার ১৯২ ভোট পেয়েছিলেন শাহিনা জাভেদ আর মহম্মদ আসিফ ইকবাল পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ৬৮৪ টি ভোট। বুধবার দিল্লিতে তিনজনের ইন্টারভিউ ছিল। মোট ১১ জন যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে লড়েছিলেন।

কংগ্রেসের বর্তমান নিয়মানুসারে ভোটে যে তিনজন সর্বাধিক ভোট পান, তাঁদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তারপর চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়া হয়। তাই বুধবার ইন্টারভিউ নেওয়া হয় দিল্লিতে। সেখানে কালনার আজহারের ওপরেই আস্থা রাখল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

তবে অধীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় শাহিনা জাভেদের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন অনেকেই। অন্যদিকে, বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বাসিন্দা আজহার। আজহার আবদুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তীদের গোষ্ঠীর বলেই দাবি করেন কংগ্রেস নেতারা। মনে করা হচ্ছে, অমিতাভ চক্রবর্তী ওরফে কাল্টুই এই আজহারের ভোটের লড়াইয়ে মূল কারিগর ছিলেন।

জানা যায়, যুব কংগ্রেস সভাপতি পদে ঘনিষ্টকে ভোট দেওয়ার জন্য কার্যত মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের তরফে ফতোয়া দেওয়া হয়েছিল। শাহিনাকে ভোট দিতে হবে, লিখিতভাবেই নাকি এমনটা জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। পরে অবশ্য মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস সে কথা অস্বীকার করে। পরিচিতির নিরিখে কলকাতার বাসিন্দা শাহিনা এগিয়ে ছিলেন বলেও দাবি করেন কেউ কেউ।

এদিন নাম ঘোষণার পর দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেন আজহার মল্লিক। তিনি জানান, সবাই প্রার্থী ছিলেন, আলাদা করে কিছু ছিল না। দলে যিনি ৫ মাসেরও বড় তাঁদের প্রত্যেকের আলাদা করে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন আজহার। বুথস্তর থেকে দলকে সংগঠিত করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। আজহার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অনেক আশা নিয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সেটা পালন করার চেষ্টা করব।’