Babita Sarkar: নম্বর বিতর্কে ভুল স্বীকার, এবার আদালতের দ্বারস্থ খোদ ববিতা
Babita Sarkar: তাঁর বক্তব্য, এসএসসি-এর এই ভুল আবার আরেকটা বিতর্কের সূত্রপাত করে দিয়েছে। বুধবার এই মামলার শুনানি। এসএসসি-কে জানাতে হবে, আসলে এই ভুল তথ্য কীভাবে তারা দিয়েছিল?
কলকাতা: নম্বর বিতর্কে এবার আদালতের দ্বারস্থ ববিতা। কমিশন ভুল করে নম্বর বাড়িয়েছে। নম্বর বিতর্কে অভিযোগ স্বীকার করে এবার আদালতের দ্বারস্থ ববিতা। তাঁর বক্তব্য মামলা চলাকালীন অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ জানায় এসএসসি। অথচ ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, তাঁর ২ নম্বর কম রয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি উল্লেখ করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বুধবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।
ববিতার বক্তব্য, মামলা চলাকালীন অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ জানায় এসএসসি। কিন্তু যখন ওএমআর শিটের বিতর্কের মাঝে ফলপ্রকাশ করা হয়, তখন দেখা যায়, তিনি ৩১ পেয়েছেন। এদিকে, এই ২ নম্বর কম থাকায় অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করতে থাকেন, তিনিও সঠিকভাবে চাকরি পাননি। এই ধরনের একটি অভিযোগ ওঠায়, তিনি নিজেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এসএসসি যে তথ্য দিয়ে এই নম্বর জানিয়েছিল, সেক্ষেত্রে তাঁর কী করার রয়েছে? ববিতার হয়ে মামলাটি দেখছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, এসএসসি-এর এই ভুল আবার আরেকটা বিতর্কের সূত্রপাত করে দিয়েছে। বুধবার এই মামলার শুনানি। এসএসসি-কে জানাতে হবে, আসলে এই ভুল তথ্য কীভাবে তারা দিয়েছিল?
প্রথমে চাকরি নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ববিতা সরকার। আর তাঁর নিশানায় ছিলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ে। আদালতের নির্দেশে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পর্যন্ত যায়। চাকরি এবং অঙ্কিতার পাওয়া বেতনের পুরোটাই পেয়েছেন মামলাকারী ববিতা সরকার। কিন্তু নিয়োগ বিতর্কের মাঝেই আবার ববিতার নম্বর নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। এসএসসির মেরিট লিস্টে ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭। লিখিত পরীক্ষায় ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৩৬। অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩, মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ৮। অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে ২ নম্বর বেশি পেয়েছেন বলে নিজেই দাবি করেন ববিতা।
মেধাতালিকায় ববিতার পরেই রয়েছেন শিলিগুড়ির অনামিকা। কমিশন ঠিক ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখলে, চাকরি পাওয়ার কথা তারই। প্রকাশ্যে এসে সেই দাবি তুলেছেন অনামিকা। ফলে বিতর্ক থাকছেই।