মন্ত্রিত্ব যেতেই মোহভঙ্গ! ‘চললাম, আলভিদা’ লিখে রাজনীতিকে বিদায় বাবুলের

Babul Supriyo: অবশেষে ঘোষণাটা করেই দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো।

মন্ত্রিত্ব যেতেই মোহভঙ্গ! 'চললাম, আলভিদা' লিখে রাজনীতিকে বিদায় বাবুলের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2021 | 5:56 PM

কলকাতা: বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁর ফেসবুক পোস্ট নানা জল্পনার জন্ম দিচ্ছিল। শনিবার অবশেষে ঘোষণাটা করেই দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো। রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন তিনি। ফেসবুকে লিখেছেন ‘চললাম, আলভিদা।’ মন্ত্রিত্ব হারানোর মাসখানেকের মধ্যেই রাজনীতি ছাড়ার পাশাপাশি সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত যে প্রত্যক্ষভাবে মন্ত্রিত্ব হারানোর কারণেই নিয়েছেন, সেটাও লুকিয়ে রাখেননি আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। কিছুটা যে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা রীতিমতো স্পষ্টভাবে জানান দিয়েছেন তিনি।

রাজনীতিক বাবুলের থেকে মানুষ যে গায়ক বাবুলকে অনেকাংশে বেশি পছন্দ করেন, সেই ‘উপলব্ধি’ কদিন আগেই হয়েছিল সাংসদের। নিজের ফেসবুকে একটি লেখার মাধ্যমে সেই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার বাবুল যা যা নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, সেখানে অনেক বিষয় সাফ করে দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। বাবুল লিখেছেন, “সামাজিক কাজ করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়।” যদিও ভবিষ্যতের জল্পনা উস্কে দিয়ে তিনি জানিয়ে রেখেছেন, “নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই আগে তারপর…।”

জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব গিয়েছিল বেশ কয়েকজনের। কিন্তু মন্ত্রিত্ব হারা বাকিদের মধ্যে একমাত্র মুখ খুলেছিলেন বাবুল। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে।’ তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে খুশি নন বাবুল। সেই ঘটনার পর থেকেও বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়নি বাবুলকে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য নিজের শরীরী ভাষাতেই সাফ করে দেন যে এই সিদ্ধান্ত তিনি ভালভাবে দেখছেন না। তবে বিশদে কোনও মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি।

দিলীপের কথায়, “বাবুল তো এখনও ইস্তফাপত্র পাঠাননি। কবে মাসির গোঁফ হবে…মেসো সেটা বলবে, এসব দেখা যাবে।” বস্তুত, সাংসদের পদত্যাগ করা নিয়ে ফেসবুক পোস্টের কোনও জবাবই দিতে চাননি তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাফ কথা, “আমি ফেসবুক দেখি না।” উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আসানসোলের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার প্রথমবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হন বাবুল। ২০১৯ সালেও নতুন করে নির্বাচিত হলে ফের মন্ত্রিত্ব তিনি ফিরে পান। কিন্তু দু’বছর যেতেই মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলে শীর্ষ নেতৃত্ব।

এই নিয়ে তীব্র শ্লেষাত্মক মন্তব্য করেছে তৃণমূলও। রাজ্য়ের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আমি এটাকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নই। বাবুল মানসিক হতাশা থেকে এটা করেছে। ওকে ঘুম থেকে তুলে বলেছে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দাও। তাই দুঃখ হয়েছে। দলেও কোণঠাসা, জায়গা পায় না, দমবন্ধ লাগছে, অক্সিজেন কম যাচ্ছে। তাই এখন ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে। এটা আসলে দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তাব। ফেসবুক পোস্ট না করে সংসদ চলার সময় স্পিকারের কাছে ইস্তফা দিল না কেন! এটা তো নাটক করছে।” আরও পড়ুন: ‘মুখ পোড়াবেন না’, নিজের সরকারের পুলিশ ও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে সরব মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা

দেখে নিন বাবুলের এ দিনের বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট…