Baidyanath Chakraborty passes away: ৯৪ বছরে চলে গেলেন টেস্ট টিউব বেবি গবেষণার জনক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী, শোক বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

Baidyanath Chakraborty: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্যুতে চিকিত্‍সা ও গবেষণা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে শোক বার্তায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Baidyanath Chakraborty passes away: ৯৪ বছরে চলে গেলেন টেস্ট টিউব বেবি গবেষণার জনক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী, শোক বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রয়াত বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2022 | 9:01 PM

কলকাতা : চলে গেলেন ভারতে টেস্ট টিউব বেবি গবেষণার জনক (father of test tube baby research) বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী (Baidyanath Chakraborty)। শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৪ বছর বয়সী এই চিকিৎসক। দীর্ঘদিন থেকেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই শারীরিক সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। সেরিব্রাল স্ট্রোক, নিউমোনিয়া সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি ভর্তি ছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালেও। ভারতে কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন বিদ্যার পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। এই মহান চিকিৎসকের প্রয়ানে টেস্ট টিউব বেবি গবেষণা ক্ষেত্রে যে জোর ধাক্কা লাগবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর প্রয়ানে শোকের ছায়া ছায়া নেমে এসেছে বাংলা তথা দেশের চিকিৎসক মহলে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবারেও।

তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর মৃত্যুতে চিকিত্‍সা ও গবেষণা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে শোক বার্তায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শোকবার্তায় মমতা জানিয়েছেন, ‘‌বিশিষ্ট চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যুতে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। আজ তিনি কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসা ও গবেষণা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি ডা: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’ টেস্ট টিউব বেবি গবেষণার পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে নানা খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। যে কারণে দেশের পাপাশাপাশি বিদেশ থেকেও নানা সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন এই কৃতি চিকিৎসক। ২০১৯ সালে বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীকে বিশিষ্ট চিকিত্‍সা সম্মানে ভূষিত করে রাজ্য সরকার। বিশিষ্ট চিকিত্‍সা সম্মানের (লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড) শিরোপা ওঠে তাঁর মুকুটে।

১৯৮৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন। ভারতে কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন অর্থাৎ নলজাতক নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের বড় অবদান রয়েছে। এমনকী প্রজনন সংক্রান্ত জটিলতা, জটিল ব্যাধি সহ একাধিক বিষয়ে গবেষণা করে এই প্রতিষ্ঠান। কিছুদিন আগেই এই প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) হাতে তুলে দেন এই কিংবদন্তী চিকিৎসক। আইসিএমআর-র তত্ত্বাবধানেই বর্তমানে রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন নিয়ে নিত্যনতুন গবেষণা চালিয়ে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন : CBI On Hanskhali Case: হাঁসখালির সেই শ্মশানে সিবিআই, হাতে এল আধপোড়া পোশাকের অংশ, চারপাশে ছড়িয়ে ছাই…