Arjun Singh: ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার’, নাড্ডা বৈঠকের আগে নাম না করে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ ‘বেসুরো’ অর্জুনের

Arjun Singh:১২ তারিখ বস্ত্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর শোনা যায় শীঘ্রই বেরোবে রফাসূত্র। এমনকী জুট বোর্ডে অর্জুনকে চেয়ারম্যানের সমতুল্য আসনে বসানো হতে পারে বলেও শোনা যায়। কিন্তু, তারপরেও কেন বেসুরো অর্জুন সিং?

Arjun Singh: ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার’, নাড্ডা বৈঠকের আগে নাম না করে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ ‘বেসুরো’ অর্জুনের
ছবি - কী হল অর্জুনের?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2022 | 3:26 PM

কলকাতা: কখনও মিলছে বরফ গলার ইঙ্গিত, আবার কখনও চড়ছে অভিমানের পারদ। অর্জুন (BJP Leader Arjun Singh) কাঁটায় বিগত কয়েক মাস ধরেই বিদ্ধ বঙ্গ বিজেপি(West Bengal BJP)। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের (Union Textile Minister Piyush Goyel) সঙ্গে দেখা করার পর ‘অর্জুন অভিমান’ খানিক গলার ইঙ্গিত মিললেও বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সে গুড়ে বালি। এমতাবস্থায় এবার ফের বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল ব্যারাকপুরের সাংসদকে। সোমবার দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে অর্জুনের। কিন্তু তার আগেই ফের সুর বদলে পদ্ম শিবিরের অস্তস্তি যে বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য।

“বিজেপিতে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনেকেই কাজের নয়”

নাম না করে নিজ দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষবান শানিয়ে অর্জুন বলেন, “ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। বিজেপিতে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনেকেই কাজের না! বাংলার রাজনীতির সঙ্গে অন্য রাজ্যের রাজনীতি গুলিয়ে ফেললে চলবে না! সঠিক লোক কে সঠিক দায়িত্ব না দিলে এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসা যাবেনা। এখানে যাদের বিজেপি দায়িত্ব দেয় তাঁরা দলের সাথে বেইমানি করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে রাজনিতি করে বড়ো নেতা হতে চায়। হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুকে রাজনীতি করে এখানে সংগঠন করা যাবে না। বাংলায় রাজনিতি করতে হলে তৃণমূল স্তরে নেমে রাজনীতি করতে হবে। আগামীকাল দিল্লিতে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের আগে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানান অর্জুন।

আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? 

বাংলায় পাট শিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়েছেন অর্জুন। এমনকী তোপ দেগেছেন খোদ বস্ত্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এমনকী প্রয়োজনে মমতার আন্দোলনে যোগ দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন। গত ৯ মে-র মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলেও সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আরও বড় আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানিয়ে রেখেছিলেন। তাতেই চাপ বাড়ে কেন্দ্রের উপর।

অর্জুনের রণংদেহি মেজাজেই কাজ ? 

অবশেষে অর্জুনের রণংদেহি মেজাজেই হয় কাজ। ১২ তারিখ বস্ত্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর শোনা যায় শীঘ্রই বেরোবে রফাসূত্র। এমনকী জুট বোর্ডে অর্জুনকে চেয়ারম্যানের সমতুল্য আসনে বসানো হতে পারে বলেও শোনা যায়। এমনকী পুর্নগঠন করা হতে পারে গোটা জুট বোর্ডেরও। এমনকী অর্জুন নিজেই জানান, পাটের সর্বোচ্চ মূল্য তুলে নেওয়ার পথেও হাঁটছে কেন্দ্র। 

“জুট কর্পোরেশনের কোনও দায়িত্ব আমাকে দিলেও আমি নেব না”

কিন্তু, এই চাপানউতরের মধ্যেই ফের ভোলবদল করতে দেখা যায় অর্জুনকে। গতকালই অর্জুন সাফ জানিয়ে দেন, “জুট কর্পোরেশনের কোনও দায়িত্ব আমাকে দিলেও আমি নেব না। কেন আমি নেব এই দায়িত্ব? আমার তো কোনও দরকার নেই। শিল্প বাঁচাতে জুট বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়ে কী লাভ”? আচমকা সুর বদলে গতকাল থেকেই বাড়ছিল চাপানউতর। এমতবস্থায় এবার সরাসরি দলীয় নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়ায় মাথাচাড়া দিচ্ছে অন্য সম্ভাবনা।