Suicide Case in Kolkata: চিঠি জুড়ে লেখা ‘রিঙ্কি তোমাকে ভালবাসি’, কারা দায়ী? মৃত্যুর আগে লিখে গেলেন যুবক

Suicide Case in Kolkata: মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, বিয়েতে মত ছিল রিঙ্কির। আর বিয়ের পর থেকেই বাড়ে অশান্তি। তার জেরেই এই পরিণতি।

Suicide Case in Kolkata: চিঠি জুড়ে লেখা 'রিঙ্কি তোমাকে ভালবাসি', কারা দায়ী? মৃত্যুর আগে লিখে গেলেন যুবক
শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী যুবক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2022 | 12:41 PM

কলকাতা : বিয়ের প্রথম দিন থেকেই আপত্তি ছিল যুবতীর। পাপাইকে বোধ হয় কোনও দিনই মন থেকে মেনে নেননি রিঙ্কি। তবে তার পরিণতি যে এত কঠিন হবে, তা বোধহয় ভাবেনি পাপাইয়ের পরিবার। শনিবার সকালে বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল যুবকের মৃতদেহ। আর মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে তিনি লিখে গেলেন স্ত্রী’র নাম। স্ত্রী’র ভালবাসা পাননি বলেই নাকি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা থানা এলাকার নেতাজি সড়কে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের। ঘরে তখন একাই ছিলেন পাপাই মান্না নামে ওই যুবক। পরে দরজা ভেঙে পরিবারের সদস্যরা দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন পাপাই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সেই দেহ। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই অনুমান পুলিশের। যে সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ, তাতে দায়ী করা হয়েছে মৃতের শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাকে। তাঁর মৃত্যুর জন্য স্ত্রী’ও দায়ী বলে উল্লেখ করেছেন ওই যুবক।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পাপাই মান্নার বয়স ৩১। তিনি পেশায় গাড়িচালক। গত ৪ বছর আগে রিঙ্কি মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর পাপাই জানতে পারেন এই বিয়েতে রিঙ্কির নাকি মত ছিল না। বিয়ের পর থেকেই বনিবনা হচ্ছিল না তাঁদের, প্রায়শই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে।

এই চার বছরে তাঁদের কোনও সন্তানও হয়নি। সেই নিয়ে অশান্তি ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তিন মাস আগে স্ত্রী রিঙ্কি পাপাই-কে ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকেই পাপাই ভেঙে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই। পাপাই তাঁর স্ত্রীকে খুবই ভালবাসতেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। সুইসাইড নোটে তিনি একাধিকবার লিখেছেন যে তিনি স্ত্রী রিঙ্কিকে ভালবাসতেন। রিঙ্কি তাঁকে ভালবাসতে পারেনি বলেই এই সিদ্ধান্ত। ‘মৃত্যুর পরও রিঙ্কির জন্য অপেক্ষা করব’, এমনটাই লেখা হয়েছে সুইসাইড নোটে।

বেহালা থানার পুলিশ দেহ বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এই বিষয়ে পাপাইয়ের পরিবারের তরফ থেকে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ বেহালা থানায় করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত করছে বেহালা থানা পুলিশ।