কোভিডমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে কেমন আছেন রোগীরা, এবার ফোন করে খোঁজ নেবে বেলেঘাটা আইডি
COVID-19: কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ও ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি-এর যৌথ উদ্যোগে এই সমীক্ষা চালাবে বেলেঘাটা আইডি।
কলকাতা: অতিমারি পরিস্থিতিতে গত দেড় বছরে সাড়ে ৩ হাজার কোভিড রোগীর চিকিৎসা করেছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। এবার কর্তৃপক্ষ খোঁজ নেবে, কেমন আছেন কোভিড জয় করে তাদের হাসপাতাল থেকে ফিরে যাওয়া রোগীরা। টেলিফোনে চলবে সেই সমীক্ষা। কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (CSIR) ও ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি (IICB)-এর যৌথ উদ্যোগে এই সমীক্ষা চালাবে বেলেঘাটা আইডি। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রথমে টেলিফোনে সমীক্ষা শুরু হলেও পরে ওয়েব সার্ভেও করা হবে।
সংক্রমণের ধাক্কায় হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন, এমনটা বোধহয় সকলের ক্ষেত্রে বলা যায় না। কোভিড পরবর্তী শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকা রোগীর সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়। এবার এমনই রোগীদের খোঁজ নিতে অভিনব সমীক্ষা শুরু করতে চলেছে বেলেঘাটা আইডি।
সিএসআইআর’র ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অ্যাকিউট কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পরে তাঁরা অন্য ধরনের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট বা হাঁটতে গেলে বুক ধড়ফড় করা, ঘুমের অস্বস্তি বা উদ্বেগ তাঁদের মধ্যে হচ্ছে কি না, বা হলেও কতজনের মধ্যে হচ্ছে সেটা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
হাজারখানেকের উপর সমীক্ষার পরিকল্পনা রয়েছে। টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে তাঁদের সঙ্গে। বেলেঘাটা আইডি থেকে সংক্রমণমুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তাঁরাই এই সমীক্ষার আওতায় থাকছেন। আরও পড়ুন: অনলাইনে পড়তে বলছে সরকার! কুলুঙ্গিতে উঠল কতজনের বইখাতা, সমীক্ষা করছে এসএফআই
অসুস্থতার পাশাপাশি আর্থ সামাজিক জীবনে করোনার প্রভাব জানাও এই সমীক্ষার একটা দিক, জানালেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসক কৌশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, “সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর অনেকেই তো পোস্ট কোভিড সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন না। অনেকে বাড়িতে থাকেন, স্থানীয় চিকিৎসককে দেখান। অনেকে আবার বিনা চিকিৎসায় বসে আছেন। সার্বিক ভাবে তাঁরা কেমন আছেন, অর্থাৎ তাঁদের শারীরিক-মানসিক-আর্থিক-সামাজিক পরিস্থিতি কেমন তা জানার জন্যই এই সমীক্ষা। সকলকে তো ফোনে পাব না। ১ হাজার জন সেক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য।”