সিঙ্গুর জমি আইনের দশম বর্ষপূর্তি, ‘কৃষক স্বার্থে লড়াই চলবে’, টুইট-বার্তা মমতার

২০০৬ সালের মে মাসে সিঙ্গুরের কৃষি জমিতে একলাখি গাড়ির কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল টাটা মোটরস। সে সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)।

সিঙ্গুর জমি আইনের দশম বর্ষপূর্তি, 'কৃষক স্বার্থে লড়াই চলবে', টুইট-বার্তা মমতার
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2021 | 1:28 PM

কলকাতা: কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সিঙ্গুর বিল পাশের বার্ষিকীতে টুইট করলেন তৃণমূলনেত্রী। সোমবার টুইটারে মমতা লেখেন, ‘দেশজুড়ে কৃষকদের যন্ত্রণা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।’ কৃষকদের দুর্দশার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে আরও একবার তোপ দাগেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে বার্তা দেন, কৃষক-স্বার্থে তাঁর লড়াই চলবে।

এদিন টুইটারে মমতা লেখেন, ‘দশ বছর আগে এই দিনে সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন ও উন্নয়ন বিল পাশ হয় বিধানসভায়। বহু লড়াইয়ের পর এই সাফল্য এসেছিল। দেশজুড়ে কৃষকদের যে যন্ত্রণা তা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। কেন্দ্রের সরকার এ নিয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। কৃষকদের অধিকার রক্ষায় একসঙ্গে লড়াই করব। কৃষকদের অধিকার আদায়ের লড়াই চলবে।’

২০০৬ সালের মে মাসে সিঙ্গুরের কৃষি জমিতে একলাখি গাড়ির কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল টাটা মোটরস। সে সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু কৃষকরা জানিয়েছিলেন, বহু ফসলি এই জমি তাঁরা কিছুতেই ছাড়বেন না। তা থেকেই আন্দোলনের শুরু। কিন্তু যে কোনও আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে দরকার যোগ্য নেতৃত্বের। সেদিন সিঙ্গুরের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা।

আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ পেতে পারেন মুকুল রায়, ভিনরাজ্যেও দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা

এর পর লড়াই এগিয়েছে প্রাণের বিনিময়ে। তাপসী মালিক, রাজকুমার ভুলের মৃত্যু আজও মনে রেখেছে বাংলা। এরইমধ্যে মমতার এদিনের টুইট ঘিরে নতুন করে শক্তি পেল কৃষক-লড়াই। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন কৃষক নেতা ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত। মমতার সঙ্গে নবান্নে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, কৃষকদের আন্দোলনে সর্বত সমর্থন দেবেন তিনি। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের নতুন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলনের আগুন জ্বলছে দিল্লিতে। যে আন্দোলনকে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে এই কৃষি আন্দোলন যে বড় ইস্যু হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য