বানভাসি বঙ্গে মৃত ২৩, জলের তলায় কয়েক লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি, প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কায় রাজ্য

Bengal Flood: কয়েক লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি ডুবে গিয়েছে জলের তলায়। ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

বানভাসি বঙ্গে মৃত ২৩, জলের তলায় কয়েক লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি, প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কায় রাজ্য
ছবি-PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 9:57 PM

কলকাতা: প্রতিবেশী রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লেই বানভাসি হয় দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বছরের পর বছর কেটে গেলেও সেই ধারা অব্যাহত একুশ সালেও। মাঝের বছর দুই বন্যার প্রকোপ সামান্য কম হলেও এ বছর দেশের পূর্বাঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাত হয়েছে অনেক বেশি। নিরুপায় ডিভিসিকেও জল ছাড়তে হয়েছে বিপুল পরিমাণে। ফলস্বরূপ যা হওয়ার হয়েছে তাই। আবারও প্রাণ হারিয়েছেন বহু বঙ্গবাসী। কয়েক লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি ডুবে গিয়েছে জলের তলায়। ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল পর্যন্ত অতিবৃষ্টি এবং বন্যা পরিস্থিতির জেরে এ রাজ্যে কমপক্ষে ২৩ জন মানুষের প্রাণের বলি হয়েছে। এদের মধ্যে দেওয়াল ভেঙে মারা গিয়েছেন ৬ জন। ৭ জন জলে তলিয়ে গিয়েছেন। বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তড়িতাহদে দু’জন মারা গিয়েছেন। এবং কালিম্পং এলাকায় ধসে চাপা পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১,১৩,১৮১ জন মানুষকে দূর্গত এলাকা থেকে সরানো হয়েছে। ৩৬১ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে যেখানে ৪৩,১৯২ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

অলংকরণ-অভীক দেবনাথ

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই ‘ম্যান মেড’ বন্যার জেরে প্রভূত ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরাও। আনুমানিক ৪ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ৬০ শতাংশ জমিতে বীজতলা রোপন করা হয়েছিল। যদি দু-একদিন এর মধ্যে জল না নামে, তাহলে এই জমির প্রভূত ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কায় রয়েছে কৃষি দফতর।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলাবতী, কংসাবতী এবং দামোদরের জল মাত্রাতিরিক্ত রকম বেড়ে যাওয়ার ফলে হাওড়া-মেদিনীপুর ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল বানভাসি হয়ে গিয়েছে। সাধারণত গোটা বছরে রাজ্যে ১৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে ৬০০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়ে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর পাশাপাশি আরও খবর, গত ১ অগস্ট তেনুঘাট জলাধার থেকে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যেটা মঙ্গলবার রাতে এসে পৌঁছেছে বঙ্গে। যার ফলে এক লক্ষ ১৫ হাজার কিউসেক জল এ রাজ্যে পাঞ্চেত ও মাইথন এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে। যে কারণে পরিস্থিতি বদলের কোনও সম্ভবনা আপাতত দেখতে পাচ্ছে না নবান্ন। আরও পড়ুন: রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয় না, মুখ্যমন্ত্রীর ‘ম্যান মেড’ দাবির পালটা জবাব ডিভিসি-র