Covid in Bengal: এবার কোভিডে বাংলার জন্য সুখবর, আশার আলো স্বাস্থ্য ভবনের রিপোর্টে
Covid in Bengal: নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর হাত ধরে কোভিডের নয়া ঢেউয়ের আমমণ নিয়েও তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। তবে নয়া রিপোর্ট আসতেই খানিকটা হলেও স্বস্তিতে বাংলার স্বাস্থ্য মহল। তারপরও সতর্কতার যে মার নেই তা মানছেন সকলেই।
কলকাতা: দক্ষিণের একের পর এক রাজ্য থেকে লাগাতার আক্রমণের খবর আসার পর থেকেই উদ্বেগটা বাড়ছিল বাংলায়। চিন্তা বাড়ছিল কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ (বিএ.২.৮৬.১.১) নিয়ে। বাংলায় নজরদারি বাড়তেই মিলতে শুরু করেছিল আক্রান্তের খোঁজ। তবে এরইমধ্যে মিলল স্বস্তির খবর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত জেএন.১ মুক্ত বাংলা। নতুন করে কোভিড আক্রান্ত কারও দেহেই নেই নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিস। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিকসে ৩০টি নমুনা পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। এর মধ্যে সাতটি নমুনা ছিল বর্তমান সময়ের। অর্থাৎ, নভেম্বর-ডিসেম্বরের।
৩০ নমুনার মধ্যে ২৩টি নমুনা সেপ্টেম্বরের। রিপোর্ট আসতে দেখা যাচ্ছে কোনও নমুনাতেই নেই জেএন.১। তাতেই মিলেছে স্বস্তি। এদিকে নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর হাত ধরে কোভিডের নয়া ঢেউয়ের আগমন নিয়েও তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। তবে নয়া রিপোর্ট আসতেই খানিকটা হলেও স্বস্তিতে বাংলার স্বাস্থ্য মহল। তারপরও সতর্কতার যে মার নেই তা মানছেন সকলেই। গিয়েছে ক্রিসমাস, সামনেই নববর্ষের উদযাপনে মাতবে বাংলা। তাই করোনা রুখতে নজরদারিতে আরও জোর দিতে হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটকের মতো দক্ষিণের একাধিক রাজ্যে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্টের দাপট বাড়তেই জারি হয়েছে সতর্কতা। এই রাজ্য়গুলিতে আবার বাংলা থেকে অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। সে কারণে আরও বেড়েছিল উদ্বেগ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নয়া ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতা কম। কিন্তু, কো-মর্বিডিটি থাকলে চাপ আছে। প্রাথমিক উপসর্গ হিসাবে আগের মতোই জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, সর্দি ও পেটের গন্ডগোল দেখা দিচ্ছে নয়া ভ্যারিয়েন্টের কবলে পড়লে। তবে এই এর জন্য এখনই নতুন কোনও ভ্য়াকসিনের প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে গত সপ্তাহে আট কোভিড আক্রান্তের পর এই সপ্তাহে কলকাতায় এখনও পর্যন্ত আরও চার কোভিড পজিটিভের খোঁজ মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সকলেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।