কবে থেকে গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা, নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল রেল
local Train: পূর্ব রেলের দাবি, তারা ট্রেন চালাতে তৈরি। তবে ভিড়ের প্রশ্নে রাজ্য সরকারের কোর্টেই বল ঠেলেছে।
কলকাতা: সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পার করে প্রায় দু’ মাস পর শুক্রবার থেকে মেট্রো চালু হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা ওঠার অনুমতি পেয়েছেন। সোমবার থেকে গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। কিন্তু রেলের চাকা এ রাজ্যে কবে গড়াবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে নিত্যযাত্রীদের মনে। এই ‘লাইফলাইন’ থমকে থাকায় অর্থনীতিতে বড়সড় ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোজই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে উঠতে গিয়ে রেলের কর্মীদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। অফিস কাছারি খুলে যাওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে, এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিয়ম ভাঙার চেষ্টা বলে দাবি তাঁদের। রেলযাত্রীদের কথায়, দোকানপাট, অফিস সব কিছুই খুলে দেওয়া হয়েছে। বাস, ট্যাক্সি, অটো, মেট্রোও যখন চলছে শুধুমাত্র লোকাল ট্রেনে কেন বাধা?
হাওড়া, শিয়ালদহের এই ভিড় শুধু স্টাফ স্পেশালে সামাল দেওয়াও সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে রেল। রেলের কর্মীদেরও দাবি, এত গাদাগাদি করে স্টাফ স্পেশালে উঠতে গিয়ে বিপদ বাড়ছে। বহু মানুষ কাজের জায়গায় পৌঁছতেও পারছেন না। এর ফলে সার্বিক ভাবে অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতিবিদদের একাংশ বলছেন, “বহু মানুষের পেট চলবে কি না তা নির্ভর করে এই ট্রেন চলাচলের উপর। যে সমস্ত সংস্থায় মানুষগুলো কাজ করেন, সেখানে পৌঁছতে না পারলে তাঁদের চাকরি নিয়ে যেমন টানাটানি হবে। একইসঙ্গে মার খাবে সংস্থাগুলির লাভও। অর্থাৎ অর্থনীতির জন্য তা একটা ধাক্কা হবে।”
ট্রেন না চলায় একাধিকবার শিয়ালদহ শাখায় তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ হয়েছে। কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্যকে চিঠিও দিয়েছে রেল। পূর্ব রেলের দাবি, তারা ট্রেন চালাতে তৈরি। তবে ভিড়ের প্রশ্নে রাজ্য সরকারের কোর্টেই বল ঠেলেছে। রেলের এক আধিকারিকের কথায়, “আমাদের সমস্ত লোকাল ট্রেন প্রস্তুত। স্যানিটাইজেশন নিয়মিত হচ্ছে। আর সরকার তো ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস চালানোর কথা বলেছেন। তাই যদি হয়, আমরা ধরেই নেব লোকের ভিড়ও কম হবে।”
দু’মাস পর আমজনতার জন্য মেট্রোর দরজা খুলেছে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে মেট্রো চলার কথা বলা হলেও প্রথম দিনই দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠেছে। ফলে লোকাল ট্রেন চালু হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন। বিশেষ করে যেখানে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা দানা বাঁধছে। সুতরাং সমস্যা আছেই। তবে প্রশাসনকে তার সমাধানও খুঁজে বার করতে হবে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। আরও পড়ুন: ‘আপনার রোগী হলে এরকম করতে পারতেন?’, বাবাকে নিয়ে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে ভেঙে পড়ল অসহায় ছেলে