Railway: ‘কাঁহা হ্যায় বাঙ্গাল কে লোগ… বুলাও’, এসি ট্রেনের কামরায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কলকাতার নাট্যকর্মীদের
AC Train: নাট্যকর্মী, বিশেষত মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের দাবি, ভয় পেয়ে রেল দফতরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। টুইট করেছিলেন, ফোনও করেছিলেন, কিন্তু কোনও সাহায্য তাঁরা পাননি।

কলকাতা: ট্রেনের মধ্যেই চরম হেনস্থার শিকার হতে হল বাংলার নাট্যকর্মীদের! রিজার্ভ করা সিট থেকে হাত ধরে টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়! কলকাতায় ফিরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নাট্যকর্মীরা। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের আমন্ত্রণে ও নাট্যদল গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। সেখান থেকে ফেরার সময় প্রয়াগরাজ স্টেশনে ওই হেনস্থার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। নাট্যকর্মীরা জানাচ্ছেন, এসি কামরার ভিতরে ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাদের হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ।
অভিযোগ, ভোপাল থেকে রিজার্ভ করা এসি কামরায় উঠেছিলেন ওই নাট্যকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, আচমকা প্রয়াগরাজ থেকে উঠে পড়ে একদল লোক। ওই দুষ্কৃতীরা কামরা দখল করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয়, এমনকী ট্রেনের মধ্যে মহিলাদের হাত ধরে রীতিমতো টানাটানি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সাহায্যের জন্য আরপিএফ-কে ডাকলেও কোনও লাভ হয়নি।
নাট্যকর্মী, বিশেষত মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁদের দাবি, ভয় পেয়ে রেল দফতরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। টুইট করেছিলেন, ফোনও করেছিলেন, কিন্তু কোনও সাহায্য তাঁরা পাননি। নাট্যকর্মীরা বলেন, ‘আমাদের বলা হয়, থোড়া অ্যাডজাস্ট কিজিয়ে।’ এ কথা বলে সিট থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয় তাঁদের। অভিযোগ, পরে সকাল হলে ওই হেনস্থাকারীরা বলতে থাকে, ‘কাঁহা হ্যায় বাঙ্গাল কে লোগ… বুলাও উসকো।’
কোনও ক্রমে হাওড়ায় পৌঁছেছেন ওই নাট্যকর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, কলকাতায় ওই ঘটনা নিয়ে এফআইআর করবেন। আরপিএফের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ।





