‘বড় বোন’ ভবানীপুর থেকেই শুরু হবে মমতার ২৪-এর লড়াই! বার্তা দিলেন নেত্রী
Mamata Banerjee on Bhabanipur: নন্দীগ্রাম থেকে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ভবানীপুর তাঁর 'বড় বোন'। সেই ভবানীপুরেই ফের প্রার্থী হলেন মমতা।
কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে রীতিমতো চমক দিয়ে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী যখন সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন, তখন নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়েই ভোটে লড়ার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের কেন্দ্র ভবানীপুর ছাড়ার কথাও বলতে গিয়েই আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েছিলেন সেইসময়। বলেছিলেন, ‘ভবানীপুরকে দুঃখ দিতে চাই না।’ নন্দীগ্রাম ছিল মমতার জন্য অন্য এক চ্যালেঞ্জ। একসময়ের সহযোদ্ধা শুভেন্দুর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে জয় আসেনি। তাই উপনির্বাচনে এবার ভবানীপুরে প্রার্থী মমতা। তবে এ বার আবেগের থেকে বেশি লড়াইয়ের বার্তা শোনা গেল মমতার গলায়। ২০২৪-এর দিকে তাকিয়ে এটা কার্যত প্রথম ধাপ বলে উল্লেখ করলে তিনি। উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর আজ প্রথম কর্মসমিতির বৈঠকে তিনি বললেন, ‘২০২৪-এর দিকে তাকিয়ে একটা বড় খেলা হবে।’
এ দিন কর্মসমিতির বৈঠকে মমতা ভবানীপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘ভোটটা কিন্তু দিতে হবে।’ তাঁর কথায়, ভবানীপুরে এ বার একটা চ্যালেঞ্জের ইলেকশন। তিনি বলেন, ‘ ২0২৪-এর দিকে তাকিয়ে একটা বড় খেলা হবে। এই খেলা হয়ে গেলে সব খেলায় জিততে হবে।’ তিনি মনে করিয়ে দেন ভবানীপুরের উপনির্বাচনের পরই রয়েছে পুরসভা নির্বাচন। সেখানেও জয় কনফার্ম করতে হবে।
নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার সময় মমতা বলেছিলেন, ‘ভবানীপুর আমার বড় বোন আর নন্দীগ্রাম আমার মেজো বোন।’ তিনি জানিয়েছিলেন পারলে ভবানীপুর আর নন্দীগ্রাম দুই কেন্দ্র থেকেই লড়তে চান তিনি। বলেছিলেন তাঁর বিবেক তাঁকে নন্দীগ্রাম থেকে লড়তে বলেছে। তাই লড়ছেন তিনি। এরপর ভোটের ফলাফলের দিন পর্যন্ত নজর ছিল সেই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে দিকে। এমনকি গণনার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিল টানটান উত্তেজনা। বোঝাই যাচ্ছিল, মমতা-শুভেন্দুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। শেষমেস জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সেই জয় নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। সেই গণনা নিয়ে মামলাও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এ দিনের কর্মসমিতির বৈঠকেও সেই নন্দীগ্রাম নিয়ে সরব হন মমতা। বলেন, অনেক ছাপ্পা দেওয়া হয়েছিল অনেক অত্যাচার করা হয়েছিল।
ফল প্রকাশের পর নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রাম না জিতে ভালোই হয়েছে। বারবার ওখানে যেতে হত।’ আর আজ কর্মসমিতির বৈঠকে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভবানীপুরের মানুষ নিশ্চয় চেয়েছিলেন, তাই আমি আমার এখানে লড়তে পারছি।’ উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র থেকে ভোটে জয়ী হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ায় ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে ভবানীপুরে এই হাই প্রোফাইল উপনির্বাচনে কে বিজেপি তরফে মমতার প্রতিপক্ষ কে হবেন, তা এখনও স্থির হয়নি। আরও পড়ুন: ‘ইসকো অ্যারেস্ট করো, উসকো অ্যারেস্ট করো.. এ ভাবেই চলছে একটা সরকার’