Bibhas Adhikari: ‘হিমশৈলের’ মাথাটুকু দেখিয়েছেন বিভাস, এবার পুরো ‘হিমশৈল্যটাই’ দেখতে চায় CBI
Bibhas Adhikari: গত সপ্তাহেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন বিভাস। সে সময়েই তাঁর কাছে তাঁর নামে থাকা সম্পত্তির তথ্য চাওয়া হয়েছিল। আধিকারিকদের কাছে সে তথ্য জমা দেন বিভাস। তাঁর ওষুধের ব্যবসা সংক্রান্তও একাধিক নথি জমা দিয়েছেন।
কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিভাস অধিকারীর থেকে সম্পত্তির হিসাব চাইল সিবিআই। সূত্রের খবর, বিভাসের নামে কোথায় কত বাড়ি, কতগুলি গাড়ি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাঁর আশ্রমের নামেও কোথায় কত জমি রয়েছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভাসের আশ্রমের সব নথি ও আয়ুর্বেদ ওষুধ ব্যবসার নথি সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। আশ্রমের নামে কোথায় কোথায় জমি রয়েছে? কীভাবে সেই জমি কেনা হয়েছে? তাও জানতে চায় সিবিআই। আসলে তদন্তকারীরা মনে করছেন, বিভাস সম্পত্তির হিমশৈল্যের ন্যায়। তার চূড়াটুকোই শুধু দেখিয়েছেন তিনি। বাকিটা লুকিয়েছেন। সেটাই দেখতে চান সিবিআই।
গত সপ্তাহেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন বিভাস। সে সময়েই তাঁর কাছে তাঁর নামে থাকা সম্পত্তির তথ্য চাওয়া হয়েছিল। আধিকারিকদের কাছে সে তথ্য জমা দেন বিভাস। তাঁর ওষুধের ব্যবসা সংক্রান্তও একাধিক নথি জমা দিয়েছেন। সেগুলি খতিয়ে দেখার পরও তদন্তকারীদের মনে হয়েছে, যা দেখানো হয়েছে, তার থেকেও বিভাসের আরও অনেক সম্পত্তি রয়েছে। সেগুলিরই তথ্য পেতে চাইছেন তাঁরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের আগে থেকেই বিভাস প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আরও উল্লেখ্য, তদন্তকারীরা মনে করছেন, তাপস মণ্ডলের আগে থেকেই বিভাস প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে উঠেছিলেন।
গত ১৫ এপ্রিল বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাসের বাড়ি, আশ্রম এবং ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেগুলি দেখে আসার পরদিনই অর্থাৎ রবিবার বিভাসকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। মানিক এখন সিবিআই-এর হেফাজতে। মানিকের গ্রেফতারির পরই তদন্তকারীরা বিভাসের থেকেও আরও তথ্য জানতে তৎপর ছিল। TV9 বাংলার প্রতিনিধি বিভাসের নলহাটির আশ্রমে গিয়েছিলেন সংবাদ সংগ্রহে। কিন্তু সেখানে বিভাসের ছেলে ও তাঁর অনুগামীদের দ্বারা নিগৃহীত হতে হয়েছিল TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে। জোর করে ফেসবুক লাইভ করিয়ে সম্প্রচারিত খবরকে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা চলেছিল। এখন সেই বিভাসেরই সম্পত্তির আসল খতিয়ান পাওয়া সিবিআই-এর টার্গেট।