Bidhannagar: রাজারহাটে মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারের তদন্তে কিনারা করল পুলিশ, গ্রেফতার মূক ও বধির অভিযুক্ত

Rajarhat: ঘটনার চার দিনের মাথায় কিনারা করলো বিধাননগর পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূলচক্রীকে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নুরউদ্দিনকে রবিবার গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিশ।

Bidhannagar: রাজারহাটে মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারের তদন্তে কিনারা করল পুলিশ, গ্রেফতার মূক ও বধির অভিযুক্ত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 2:26 PM

কলকাতা : রাজারহাটে হত্যাকাণ্ডের চার দিনের মধ্যে খুনের রহস্যের কিনারা করল বিধাননগর পুলিশ (Bidhannagar Police)। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ঠিকা শ্রমিক। গত বুধবার রাজারহাট থানার অন্তর্গত গাঁরাগুরিতে এক খেতমজুর মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মহিলার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল বলেই জানান প্রত্যক্ষর্শীরা। সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজারহাট থানার পুলিশ। এই ঘটনার চার দিনের মাথায় কিনারা করলো বিধাননগর পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূলচক্রীকে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নুরউদ্দিনকে রবিবার গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তি মূক ও বধির। অভিযুক্ত নুরউদ্দিন ওই এলাকায় ঠিকা শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, শারীরিক লালসার জেরেই সে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে এবং তারপর প্রমাণ লোপাট করতে তাঁকে হত্যা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে পুলিশি জেরায় সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত। ধৃত নুরউদ্দিনকে আগামিকাল (সোমবার) বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে রাজারহাট থানার পুলিশ।

কয়েকদিন আগেই রাজারহাটের গাঁড়াগড়ি এলাকায় একটি ফাঁকা মাঠ থেকে এক মহিলার অর্ধনগ্ন , ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। মহিলার সারা দেহে আঘাতের ক্ষত ছিল স্পষ্ট। জায়গায় জায়গায় বিড়ি বা সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল এবং শক্ত করে পা বাঁধা ছিল। ঘটনার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে চার দিনের মধ্যে রাজারহাট থানার পুলিশ তদন্তে সাফল্য পেল। গ্রেফতার করা হল ঘটনায় অভিযুক্ত নুরউদ্দিনকে। রাজারহাটের গাঁড়াগড়ির ওই দেহ উদ্ধারেক ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। ধৃতকে জেরা করে ঘটনার পিছনে আরও কেউ ছিল কি না, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।