TMC : শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রাক্তন সরকারি আধিকারিকের, কাঠগড়ায় বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী
TMC : এছাড়াও আরও গুরুতর অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন সরকারি আধিকারিক। তাঁর দাবি, পুরো বাড়িটি তাঁদের ভয় দেখিয়ে প্রমোটিং করতে চান কাউন্সিলরের স্বামী। বাধা দেওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে। শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ।
কলকাতা : বিধাননগরের এক তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ। প্রাক্তন এক সরকারি আধিকারিককে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই বিধাননগর পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রাক্তন ওই মহিলা সরকারি আধিকারিক। সূত্রের খবর, গত অগস্ট মাসে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ওই মহিলা সরকারি আধিকারিকের চার তলা বাড়ির এক অংশ কিনে নেন তৃণমূল ওই কাউন্সিলরের স্বামী। তখন থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। অভিযোগ, বাড়ির গ্যারেজ দখল নিতে চান কাউন্সিলরের স্বামী। সোমবার তালা ভেঙে গ্যারেজের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
এছাড়াও আরও গুরুতর অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন ওই সরকারি আধিকারিক। তাঁর দাবি, পুরো বাড়িটি তাঁদের ভয় দেখিয়ে প্রমোটিং করতে চান কাউন্সিলরের স্বামী। বাধা দেওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে। শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। এমমকী তাঁর ছেলেকে মহিলা ঘটিত মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে খবর। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিধাননগর পূর্ব থানায় লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
প্রাক্তন ওই সরকারি আধিকারিকের অভিযোগ, “কাউন্সিলরের স্বামী আমার বাড়ির নীচের তলাটা কিনেছেন। ওনার দাবি বাড়ির গ্যারেজে ওনার অধিকার রয়েছে। এদিকে ওটা আমার দখলে থাকে। আমি তালা দিয়ে রাখি। কিন্তু কাউন্সিলরের স্বামীর দাবি ওখানে যাতায়াতের অধিকার ওনাকে দিতে হবে। কিন্তু, ওটা যে আমার মালিকানাধীন রয়েছে তাঁর সমস্ত কাগজ আমার কাছে রয়েছে। কাল আচমকা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন। প্রতিবাদ করতে গেলে আমার দিকে তেড়ে আসেন। গ্যারেজের তালা ভেঙে ছুড়ে ফেলে দেন। আমি আটকাতে গেলে আমার শ্লীলতাহানি করা হয়। আমার ছেলেকেও ভয় দেখানো হয়।”
বিধাননগরের ওই তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “ঝামেলা কিছুই হয়নি। আমার স্বামী যে বাড়ির অংশ কিনেছেন তার কাগজ ওনার কাছে আছে। বাড়ির তিনভাগের একভাগের মালিক উনি। বাড়ির যদি একটা ফ্লোর কেউ কেনে তাহলে বাড়ির কমন প্যাসেজ তো সবার জন্য একই হবে। এদিকে বাড়িটা খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ওনারা কমন প্যাসেজে ঢুকে বাড়িটা মেরামতি করতে দিচ্ছেন না। তাই এখন আমার স্বামীর নামে মিথ্যা বদনাম দিচ্ছেন।”