Partha Chatterjee Arrested: ‘কালীঘাট, শান্তিনিকেতন ঘিরে ফেলুুন, শত শত কোটি টাকা উদ্ধার হবে’, ফের বড় আন্দোলেনের তোড়জোড় করছেন বিকাশ
ED Raids: ইডির আধিকারিকদের বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য 'পরামর্শ' দেন, এখনই 'কালীঘাট, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট এবং শান্তিনিকেতন ঘিরে ফেলা'র জন্য। আগামীতে আদালতের পাশাপাশি রাস্তায় নেমেও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাতভর তল্লাশি চালানোর পর শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমানের রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তিনি তৃণমূল মহাসচিবের ঘনিষ্ঠ। আর এরপরই তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বামপন্থী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গিয়েছে বিকাশ বাবুকে। বিকাশ বাবুর তোপ এবার সরাসরি কালীঘাট এবং শান্তিনিকেতনের দিকে। ইডির আধিকারিকদের তিনি ‘পরামর্শ’ দেন, এখনই ‘কালীঘাট, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট এবং শান্তিনিকেতন ঘিরে ফেলা’র জন্য। আগামীতে আদালতের পাশাপাশি রাস্তায় নেমেও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য TV9 বাংলাকে জানান, “২৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে ইডি অনেক বদান্যতা করেছে। এদের প্রথমেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের কোনও সুযোগ নেই। এরা সবাই প্রশাসনকে ব্যবহার করে দুর্নীতিমূলক অর্থ উপার্জন করেছেন। পার্থ হচ্ছেন দাবার ঘুঁটি। আসল রানিকে খুঁজে বের করতে হবে। তিনিও হাতের সামনে আছেন। আমি বার বার বলছি, কালীঘাট এবং কালীঘাট পরিবারের, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট পরিবারের সকলের বাড়িতে হানা দিক। শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার হবে, যা বেআইনিভাবে করা হয়েছিল প্রশাসনকে ব্যবহার করে এবং মানুষকে বোকা বানিয়ে। এরা সবাই চূড়ান্ত অপরাধী। যেদিন মমতাকে গ্রেফতার করবে ইডি, সেদিন এই দুর্নীতি উন্মোচনের একটি নির্দিষ্ট দিশা পাওয়া যাবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, সিপিএম-এর কিছু অফিসার রয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে TV9 বাংলার প্রশ্নের উত্তরে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আসলে যিনি চুরি করেন, যিনি চক্রান্ত করেন, তিনি সবসময়ই পিছনে একটি চক্রান্ত খুঁজে পান।সমস্ত কাজ হয়েছিল ওঁর নেতৃত্বে। এভাবে কমিটি তৈরি করা, টাকা নেওয়া… এগুলি কি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া হয় না কি! এখন অফিসারদের ঘাড়ে বন্দুক রাখলে হবে? ইডিকে আমি অনুরোধ করব, আপনারা এখনই যান। কালীঘাট, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, শান্তিনিকেতন ঘিরে ফেলুন। দেখবেন অনেক শত শত কোটি টাকা আপনারা উদ্ধার করতে পারছেন।”
সেই সঙ্গে বিকাশ বাবু আরও বলেন, “এই তৎপরতা বজায় রাখতেই হবে। আমরা কিন্তু চুপ করে বসে থাকব না। আমরা আদালতে যেমন লড়ছি, এবার রাস্তায় লোক নামিয়ে দেব। সেই পরিকল্পনার প্রস্তুতিও নিচ্ছি আমরা। যত লোক প্রতারিত হয়েছেন, সকলকে নিয়ে রাস্তায় নামব।”