CV Ananda Bose: রাজ্যপালের এই নাটক করার দরকার ছিল না: বিকাশ
CV Ananda Bose: বিকাশের সাফ বক্তব্য, 'রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তাঁর কাজ সংবিধানকে রক্ষা করা। এর জন্য নাটকের প্রয়োজন নেই।'
কলকাতা: বাংলার নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হাতেখড়ির অনুষ্ঠান ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সরস্বতী পুজোর বিকেলে রাজভবনে জমকালো অনুষ্ঠান। চাঁদের হাট। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্পীরা হাজির ছিলেন রাজভবনে। যদিও বিরোধী দলের কোনও নেতাকে সেই হাতেখড়িতে দেখা যায়নি। বিমান বসু রাজভবনে চা চক্রে যোগ দিতে গেলেও, হাতেখড়ির অনুষ্ঠানে ছিলেন না। রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে বিরোধী নেতারা ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। এবার টিভি নাইন বাংলার কথাবার্তা অনুষ্ঠানে এসে ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এই নিয়ে আরও কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তাঁর কাজ সংবিধানকে রক্ষা করা। এর জন্য নাটকের প্রয়োজন নেই।’
বিকাশরঞ্জনের মতে, একজন সাংবিধানিক প্রধান বা একজন প্রশাসনিক প্রধান যদি নাটকের আশ্রয় নেন, তাহলে সাধারণ মানুষের মনে এই পদ সম্পর্কে অশ্রদ্ধা জন্ম নেয়। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কার্যকলাপে ইতিমধ্যেই হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদের মর্যাদা নষ্ট হয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। বিকাশের বক্তব্য, সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর পদকে এখন সাধারণ মানুষ গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। গতকালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে কড়া সমালোচনার সুরে বিকাশ বলেন, ‘এই হাতেখড়ি অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ নাটক। এতে সরকারি পয়সার অপব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অশ্রদ্ধা তৈরি হচ্ছে সাংবিধানিক পদ সম্পর্কে।’
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী হিসেবে নিজের অতীতের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। অতীতে পাঁচ বছরের জন্য ত্রিপুরার অ্য়াডভোকেট জেনারেল ছিলেন তিনি। সেই সময়ের কথা তুলে ধরে বিকাশ জানান, তখন তিনি বিভিন্ন আইনি পরামর্শ বাংলার লিখতেন। কিন্তু সেই সময় ত্রিপুরার মুখ্যসচিব যিনি ছিলেন, তিনি কেরালার বাসিন্দা। বিকাশবাবু তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আইনি পরামর্শ বাংলায় লেখায় মুখ্যসচিবের কোনও সমস্যা হয় কি না। জবাবে মুখ্যসচিব বিকাশবাবুকে জানিয়েছিলেন, যে রাজ্যে তাঁদের পোস্টিং হচ্ছে, সেই রাজ্যের ভাষা শিখে নেওয়াটা তাঁদের দায়িত্ব।
বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও অতীতে একজন আমলা ছিলেন। আইএএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিকাশবাবুর মন্তব্য, ‘তিনি একজন প্রবীণ আইএএস। তিনি জানেন এই বিষয়টি। তাঁর তো এই নাটক করার দরকার ছিল না। এই হাতেখড়ি অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ নাটক।’