West Bengal BJP: শুভেন্দু-সুকান্ত-অমিতাভর ডানা ছাঁটল বিজেপি, বঙ্গে এল নতুন নেতা

Satish Dhond: গোয়ায় নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের ক্ষেত্রে সতীশ ধনদ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাকে এবার বঙ্গ বিজেপিতে কাজে লাগাতে চাইছে দিল্লির নেতৃত্ব।

West Bengal BJP: শুভেন্দু-সুকান্ত-অমিতাভর ডানা ছাঁটল বিজেপি, বঙ্গে এল নতুন নেতা
বঙ্গ বিজেপির ত্রয়ীর ডানা ছাঁটল দিল্লি নেতৃত্ব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2022 | 5:35 PM

কলকাতা : বঙ্গ বিজেপিতে সুকান্ত-অমিতাভ-শুভেন্দুদের একাধিপত্য কমাল পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে এবার বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের দায়িত্ব সামলাবেন সতীশ ধনদ। সতীশ ধনদ রাজ্য বিজেপির সহকারী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছে। অমিতাভ চক্রবর্তীর সহকারি হিসেবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা তাঁকে নিযুক্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য সতীশ ধনদ গোয়ায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গোয়ায় নির্বাচনে বিজেপির যে সাফল্যের ক্ষেত্রে সতীশ ধনদ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাকে এবার বঙ্গ বিজেপিতে কাজে লাগাতে চাইছে দিল্লির নেতৃত্ব।

Satish Dhond

সতীশ ধনদ

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক সময়ে বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিজেপিরই একাংশ। কখনও সরাসরি নাম করে কখনও বা ঠারেঠোরে ইঙ্গিত করেছেন অমিতাভর দিকেই। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অস্বস্তিতে ছিল। এই পরিস্থিতিতে বাইরের রাজ্য থেকে একজনকে নিয়ে এসে সেই অন্তর্দ্বন্দ্বে কিছুটা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্তত এমনই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা। উল্লেখ্য, অতীতে সুব্রত চট্টোপাধ্যায় যখন বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই সময় অমিতাভ চক্রবর্তীও তাঁর সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময় দলের রাজ্য কমিটির সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ।

অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের কথা দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার এবং অমিতাভ চক্রবর্তী – এই ত্রয়ীর মধ্যেই দলের রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত আবর্তিত হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বাংলায় দলের সাংগঠনিক যে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলি কাটিয়ে দলকে এক সুতোয় বাঁধার জন্যই সতীশ ধনদে রাজ্যের দায়িত্বে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বাইরের রাজ্যের একজন বাংলার পরিস্থিতি কতটা সামাল দিতে পারবেন, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর শুভেন্দু অধিকারী টুইটে সতীশ ধনদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।