Dilip Ghosh: ‘সব জঙ্গি মডিউল চলে আসছে বাংলায়’, কোন কোন জেলা ‘জঙ্গি ঘাঁটিতে’ পরিণত হয়েছে, বললেন দিলীপ

BJP: বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে রীতিমত একহাত নেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কয়েকটি জেলাকে জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবেও চিহ্নিত করেন তিনি।

Dilip Ghosh: 'সব জঙ্গি মডিউল চলে আসছে বাংলায়', কোন কোন জেলা ‘জঙ্গি ঘাঁটিতে’ পরিণত হয়েছে, বললেন দিলীপ
দিলীপ ঘোষ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2022 | 12:44 PM

কলকাতা: রবিবার আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে মথুরাপুর থেকে এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। আর এই খবর চাউর হতেই ফের শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতি। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে রীতিমতো একহাত নিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কয়েকটি জেলাকে জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবেও চিহ্নিতও করেন তিনি।

নিত্যদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপি সাংসদ (BJP)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘রাজ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, হাওড়া, মালদা, উত্তরবঙ্গের আরও দুই একটা জেলা , নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, এগুলো এখন জঙ্গিদের ঘাঁটি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সব জানে। তবুও হাতে দেবে না। কারণ এর সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত রয়েছে। সরকার জানে সরকারের ভোটের ব্যাপার আছে। সেই জন্য সারা ভারত থেকে সমস্ত জঙ্গি মডিউল চলে এসেছে এখানে। একাধিক জঙ্গি ধরা পড়েছে।’

এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবার থেকে জঙ্গি গিয়ে অন্য রাজ্যে অপারেশন করছে। ওখান থেকে তাড়া খেয়ে এখানে পালিয়ে আসছে। এরপর বাংলাদেশ থেকে ঢুকে এখানে থাকছে। পরে জাল বিস্তার করছে। এখানে জঙ্গি নিয়োগ হচ্ছে। এটা ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টে আগেও এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তুপের উপর বসে আছে। আর এই সংখ্যাগুলো অস্ত্রগুলোকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে ধীরে ধীরে। সেই জন্য রাজনীতি ও রক্ত রঞ্জিত হয়ে যাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এলাকা থেকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়।বছর কুড়ি বয়সী ওই যুবকের নাম মনিরুদ্দিন খান। ওই যুবক কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (ABT) কিংবা আল আয়েদার উপমহাদেশীয় শাখার (AQIS) সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের। গোয়েন্দাদের সন্দেহ এই ব্যক্তি জঙ্গি সংগঠনকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করত। জঙ্গি সংগঠনে নতুন লোক নিয়ে আসা, ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়ার মতো বেশ কিছু কাজের সঙ্গে ওই যুবক জড়িত ছিল বলে সন্দেহ রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের।