বিজেপির ‘হেভিওয়েট’ বৈঠকে অনুপস্থিত রাজীব, লিঙ্ক পাঠানো হলেও যোগ দিলেন না ভার্চুয়ালি
BJP Meeting: বিজেপির অন্দরের খবর, রাজীবকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণও জানানো হয়। কিন্তু তিনি আসেননি।
কলকাতা: বিজেপির (BJP) রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক। কিন্তু সেই বৈঠকে আনানো গেল না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সশরীরে হাজির তো হলেনই না। এমনকী ভার্চুয়ালি থাকার জন্য বিজেপি দফতর থেকে লিঙ্ক পাঠানো হলে, তাতেও সাড়া দিলেন না রাজীব। আর এই ঘটনায় আবারও জল্পনা শুরু হাওড়ার এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিয়ে।
নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মঙ্গলবারই প্রথম বৈঠকে বসে বিজেপির রাজ্য কমিটি। সেখানে দিলীপ ঘোষ, অরবিন্দ মেনন, তথাগত রায়, রাহুল সিনহা, শুভেন্দু অধিকারী, সব্যসাচী দত্ত, জটু লাহিড়ি কম বেশি সমস্ত বিজেপি নেতাই ছিলেন। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে গরহাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিজেপির অন্দরের খবর, রাজীবকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণও জানানো হয়। কিন্তু তিনি আসেননি।
এরপর ভার্চুয়ালি বৈঠকে থাকার জন্য রাজীবকে লিঙ্ক পাঠানো হয় বিজেপির আইটি সেলের তরফে। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই লিঙ্কও তিনি খোলেননি। দিনভরই এই বৈঠক চলবে। সাড়ে ৪টে নাগাদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ভার্চুয়ালি সেখানে যোগ দেবেন। আগামী দিনে দলের কর্মপন্থার রূপরেখাই তুলে ধরবেন দলীয় সতীর্থদের কাছে। হাই ভোল্টেজ এই বৈঠকে দুপুর গড়ালেও রাজীবকে দেখা যায়নি।
যদিও কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিতাভ চক্রবর্তীকে আলাদা করে দু’টি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজীব। ডোমজুড়ের কোন কোন বিজেপি কর্মী ভোটের পর থেকে ঘরছাড়া, তাঁদের নাম-ঠিকানা দেওয়া ছিল সেই চিঠিতে। রাজ্য নেতৃত্ব যেন দ্রুত গৃহহীনদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নেন, সে আবেদনও নাকি ছিল সেখানে। যদিও এ চিঠি নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই। তবে তাতে দু’য়ে দু’য়ে চার মনে হয়েছিল। জল্পনা শুরু হয়েছিল, এ যাত্রায় বিজেপিতেই থেকে যাচ্ছেন রাজীব।
আরও পড়ুন: বুধেই মুখ্যমন্ত্রীর নারদ-হলফনামা মামলার রায়দান হাইকোর্টে
তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বিজেপির ‘রাজ্য কার্যকারিণী সভা’য় রাজীবের অনুপস্থিতি নতুন করে জল্পনা বাড়াল। উল্লেখ্য, মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পরই পুরনো দলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা বাড়িয়ে গত ১২ জুন কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে বিজেপির রাজনীতির আদব-কায়দা নিয়ে বিষোদগার করেন তিনি। একই সঙ্গে ‘কথায় কথায় ৩৫৬ ধারার জুজু’ দেখানোরও বিরোধিতা করেন। ফলে কোথাও গিয়ে তিনিও ‘বেসুরো’ হচ্ছেন বলেই ধারনা ওয়াকিবহাল মহলের। এদিনের অনুপস্থিতি সে জল্পনার আগুনে আরও খানিকটা ঘি ঢালল।