AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুরেলা বাবুল কি গাইবেন ‘বেসুরে’? ফেসবুক পোস্ট ‘এডিট’ করে জল্পনা বাড়ালেন নিজেই

Babul Supriyo: প্রথমে তিনি লিখেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরই সেই অংশটি নিজেই মুছে ফেলেছেন।

সুরেলা বাবুল কি গাইবেন 'বেসুরে'? ফেসবুক পোস্ট 'এডিট' করে জল্পনা বাড়ালেন নিজেই
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন বাবুল
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2021 | 10:05 PM
Share

কলকাতা: সপ্তাহান্তে রাজ্য রাজনীতিতে বান এনে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। শুধু তো রাজনীতি ছেড়ে যাওয়া ও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা তিনি করেননি। বরং একাধিকবার নিজের ফেসবুকের লেখা এডিট করে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেই জল্পনা উস্কে দিয়েছেন। তিনি রাজনীতি থেকেই সন্ন্যাস নিয়ে নিচ্ছেন, এমনটা প্রাথমিকভাবে মনে করা হলেও তাতে ‘টুইস্ট’ এনেছেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রথমে তিনি লিখেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরই সেই অংশটি নিজেই মুছে ফেলেছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছেই, কী করতে চলেছেন আসানসোলেন সাংসদ?

দলের কাজের প্রতি অসন্তোষ বা অভিমানী হয়ে যে নেতারা বিরুদ্ধাচরণ করে থাকেন, বাংলার রাজনৈতিক মহল তাঁদের একডাকে ‘বেসুরো’ হিসেবেই চিহ্নিত করে। সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য সুর, তাল, লয়ের দিক থেকে সুদক্ষ। মুম্বইয়ের পেশাদার সঙ্গীত জগৎ ছেড়ে ২০১৪ সালে রাজনীতির সুর গেয়ে ওঠেন তিনি। প্রথমবার ভোটে জিতেই কেন্দ্রে মন্ত্রী হন। প্রত্যাশিতভাবে, তারপর থেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের গুণগান শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরও সেই ধারাই অব্যাহত থাকে। কিন্তু তাল সামান্য কাটে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। টালিগঞ্জে প্রার্থী হয়ে হেরে যান বাবুল। এর কয়েক মাসের ব্যবধানে সম্প্রসারিত হয় প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভা। আর সেখান থেকে বাদ পড়েই যেন ‘ক্যাসেট জ্যাম’ হয়ে যায় রাজনীতিক বাবুলের। সামান্য ‘বেসুর’ ধরে ফেসবুকে তিনি লিখে দেন, “আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। নিজের জন্য খারাপ লাগছে।”

কিন্তু এই পোস্টও এডিট করে পরবর্তী সময় ওই অংশটুকু ফেলে দেন তিনি। শুধু লেখেন, বিষয়টি ওভাবে বলা হয়তো ঠিক হবে না। তারপর থেকে রাজনীতির প্রসঙ্গ নিয়ে খুব একটা লেখালেখি তাঁকে করতে দেখা যায়নি। রাজনীতিক বাবুলের থেকে মানুষ গায়ক বাবুলকে যে বেশি পছন্দ করতেন, সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ‘উপলব্ধির’ কথাও তিনি জানান।

শনিবারের বারবেলা অবশ্য আগের সমস্ত হিসেব-নিকেশ উল্টে দিয়েছে। বিকেলে নিজের প্রথম ফেসবুক পোস্টে বাবুল লিখেছিলেন, “আমি টিম প্লেয়ার। দল হিসেবে সর্বদা মোহনবাগান এবং পার্টি হিসেবে সর্বদা বিজেপিকে সমর্থন করেছি। এটাই শেষ কথা।” অন্য দলে যোগ দেওয়ার জল্পনাকে নস্যাৎ করে তিনি এটাও জানান, “অন্য কোনও দলে যাচ্ছি না। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম কোথাও নয়। কনফার্ম করছি। কেউ আমায় ডাকেওনি, আমিও কোথাও যাচ্ছি না।” কিন্তু, কিছুক্ষণ পরেই নিজের এডিট করা ফেসবুক পোস্ট থেকে এই দু’টি কথাই মুছে ফেলেছেন বাবুল। যা তাঁর দলবদলের জল্পনা কার্যত এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাঁ-দিকে, বাবুলের লেখা প্রথম অংশ, ডানদিকে, এডিট করা অংশ

বিজেপির একাংশ যদিও মনে করে যে বাবুল সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না। যে সময় বাবুল বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তখন রাজ্যে বিজেপি রাজ্য সভাপতির ভূমিকায় ছিলেন রাহুল সিনহা। সেই রাহুল সিনহা এ দিন জানিয়েছেন, “বাবুল শিল্পী মানুষ, আবেগপ্রিয় লোক। বাবুল কোথাও যাবেন না। ভাবা আর করার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক আছে।” অন্যদিকে, গোটা বিষয়টি নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে তাঁকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।