ভবানীপুরের ভোট নিয়ে তবে কি আদালতেই যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি? জোরাল হচ্ছে জল্পনা

Dilip Ghosh: সূত্রের খবর, বিজেপির মূলত প্রশ্ন, কেন একটা রাজ্য নিয়ে দুই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত দু'রকম হবে।

ভবানীপুরের ভোট নিয়ে তবে কি আদালতেই যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি? জোরাল হচ্ছে জল্পনা
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 8:30 PM

কলকাতা: ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরদিনই তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়ে দিল তিন কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী কারা। এদিকে তৃণমূল যখন ভবানীপুরের উপনির্বাচন ও জঙ্গিপুর-সামশেরগঞ্জের পূর্ণাঙ্গ ভোট নিয়ে জোর কদমে প্রস্তুতি সারছে, তখন বিজেপির অন্দরে অন্য কৌশলের পরিকল্পনা চলছে বলেই সূত্রের খবর। ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে আদালতে যেতেও পারেন দিলীপ ঘোষরা।

সূত্রের খবর, বিজেপির মূলত প্রশ্ন, কেন একটা রাজ্য নিয়ে দুই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত দু’রকম হবে। পুরভোটের প্রসঙ্গ তোলা হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলছে ভোট করার মতো পরিস্থিতি নেই। অথচ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন দিব্যি ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিল। বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষরা। তবে এই পরিকল্পনা আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না তা নির্ভর করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর। ইতিমধ্যেই এই আদালতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে দাবি সূত্রের। যদি দিল্লি থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলে, তবে ফের এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হবে রাজ্যের তিন কেন্দ্রে। ৬ সেপ্টেম্বর থেকে আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকর হয়ে যাবে ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা এলাকায়। ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষদিন। ৩ অক্টোবর ভোটের গণনা।

প্রথম থেকেই এই উপনির্বাচন নিয়ে সায় ছিল না বিজেপির। দিলীপ ঘোষ আরও এক ধাপ এগিয়ে জানিয়েছিলেন, আগে পুরভোট করানো হোক তারপর উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক রাজ্যে। দিলীপ ঘোষের যুক্তি, “দু’ বছর তিন বছর হয়ে গিয়েছে এক একটা পুরসভাতে ভোট হয়নি। কে দিয়েছে এই অধিকার ওনাদের। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করার সাহস ওনারা পাচ্ছেন কী করে! সব জায়গায় ওনাদের লোক চাই। নৈতিক-অনৈতিক, সামনের দরজা দিয়ে, পিছনের দরজা দিয়ে লুঠ করে খাও। এটা ঠিক নয়। গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই ভোট হওয়া উচিৎ। প্রথম তো পুরভোটই হওয়া উচিৎ।” যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “যে মানুষটার পুরসভা আর মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক নির্বাচনের গুরুত্বই বোঝেন না সেই ধরনের নির্বোধের কোনও কথার জবাব দেওয়াও আমি সমীচীন বলে মনে করি না।”

পুর ও উপ নির্বাচন নিয়ে তরজার মধ্যেই শনিবার রাজ্যে উপনির্বাচনের দাবিদার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে ভোটের দিন ঘোষণা করে কমিশন। সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফে কমিশনকে জানানো হয়েছিল, কোনও মন্ত্রী টানা ছ’মাস বিধানসভার সদস্য না থাকেন তা হলে মন্ত্রিত্ব খর্ব হয়। সে ক্ষেত্র সাংবিধানিক সঙ্কট ও শীর্ষ প্রশাসনিক পদেও শূন্যতা তৈরি হবে। তাই অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্রে লড়াই করতে চাইছেন, সেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক। আরও পড়ুন: আরজি করের বাইরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর…