BJP: চব্বিশের জোর প্রস্তুতি তৃণমূলে, জবাব দিতে বিজেপিও গোপনে সাজাচ্ছে ঘুঁটি
Dilip Ghosh: বিজেপি সূত্র বলছে, বিধানসভা ভোটে যে দু'টি আসনে দল জিতেছিল সেই শান্তিপুর ও দিনহাটা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেও ক্ষমতা ধরে রাখতে বিন্দুমাত্র ঢিলেমি দেখানো হবে না।
কলকাতা: ২০২৪-এর (Loksabha Vote) লক্ষ্যে তৃণমূল যখন প্রবল শক্তি দিয়ে ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে, বিজেপিও গোপনে তৈরি করছে নিজেদের রণকৌশল। বিধানসভা ভোটের ফলাফল আশানুরূপ না হলেও, দমতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা। উল্টে দায়িত্ব পাওয়ার পরই গোটা বাংলা সফরে বেরোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গী প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দলে দলে বিজেপিতে যোগদানের যে হিড়িক দেখা গিয়েছিল, ভোট মিটটেই তাতে উলট পুরাণ। বিজেপি ছাড়ছেন অনেকেই। যদিও এই তালিকায় মূলত ‘দল বদলু’ই বেশি। এক দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। ভোটের ফল প্রকাশ হতেই আবারও পুরনো শিবিরে ফিরছেন এমনই বেশি। যদিও এ নিয়ে খুব বেশি আমল দিচ্ছে না পদ্মশিবির। রাজ্য নেতৃত্বের স্পষ্ট দাবি, যারা বিজেপি মনস্ক, তারা কোনওদিনই দল ছাড়বে না। স্বার্থের জন্য কেউ এলে, তাদের এখানে টেকা সম্ভবও নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আপাতত ঘর সামাল দেওয়াই বিজেপির গেম প্ল্যান। বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। জেলায় জেলায় ঘুরে সেইসব কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব। কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে চায়। পাশাপাশি প্রাক্তন এবং বর্তমান রাজ্য সভাপতি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জেলা সফর করে মুছে ফেলতে চান মনোমালিন্যের জল্পনাও।
বিজেপি সূত্র বলছে, বিধানসভা ভোটে যে দু’টি আসনে দল জিতেছিল সেই শান্তিপুর ও দিনহাটা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেও ক্ষমতা ধরে রাখতে বিন্দুমাত্র ঢিলেমি দেখানো হবে না। সেই সঙ্গে পুরভোটের কৌশল সাজানোর কাজও চলছে। সে জন্য জেলায় জেলায় সংগঠনের ভিত মজবুত করার কথা ইতিমধ্যেই বলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেটাই আপাতত রাজ্য বিজেপির পাখির চোখ। জেলায় জেলায় সাংগঠনিক ছবিটা চিনতে চাইছেন রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। আর এ ক্ষেত্রে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপরই ভরসা রাখছেন তিনি। দিলীপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়েই আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলা সফর সুকান্তের।
এই জেলা সফর প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “দিলীপবাবু এবং সুকান্তবাবু একসঙ্গে জেলায় জেলায় যাওয়া শুরু করেছেন। বুথস্তরে গিয়ে কর্মীদের একটা উৎসাহের বার্তা দেবেন। বিজেপি পার্টির মধ্যে যে ঐক্যবদ্ধতা এবং একসঙ্গে কাজ করে দলকে সামনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সেই সমস্তটা কিন্তু এই সফরের মধ্যে দিয়ে সামনে আসবে।”
যদিও তৃণমূল আবার দুই নেতার রাজ্য সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এতে এটা প্রমাণ হয় যে, বর্তমান রাজ্য সভাপতি একেবারেই নাবালক। উনি একা ঘোরার ভরসাও পাচ্ছেন না। তাই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে যেতে হচ্ছে। বর্তমান রাজ্য সভাপতি অল্প বয়স্ক, কিছুটা অপরিণত। কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত। দিলীপ ঘোষ আবার একেবারেই শিক্ষিত নন। অকথা, কুকথায় বিখ্যাত। আসলে বিজেপি এই দু’জনের চারিত্রিক যে কনট্রাস্ট সেটাকেই তুলে ধরে এগোতে চাইছে।”
আরও পড়ুন: আজ তো রোদের দেখা মিলল, দুর্যোগ টলল কি? জানাল হাওয়া অফিস