শতাব্দী-রাজীবের জন্য গেরুয়া দরজা খোলা, কিন্তু ‘সবাইকে নেব না’: দিলীপ
দিল্লিতে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে তাঁকে যে একাধিক 'পরামর্শ' দেওয়া হয়েছে, সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। যদিও কী 'পরামর্শ' শীর্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেটা খোলসা করেননি দিলীপ।
কলকাতা: দিল্লিতে শাহ-নাড্ডাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে রাজ্যে ফিরে শনিবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, এখন থেকে অন্য দলের নেতাদের দলে নেওয়ার আগে আরও ঝাড়াই-বাছাই করা হবে। তারপরই কাউকে বিজেপিতে (BJP) শামিল করা হবে। দিলীপবাবুর সাফ বক্তব্য, ‘যোগদান পর্ব তো চলছে। তবে সবাইকে আমরা নিই না, সবাইকে নেবও না।’ তবে তৃণমূলের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শতাব্দী রায়ের জন্য যে তাঁর দল দরজা খুলে রেখেছে, সে কথা স্পষ্টভাবে জানান তিনি।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া ইস্তক এখনও দলের কোনও পদ পাননি শুভেন্দু অধিকারী। অদূর ভবিষ্যতে অবশ্য পেলেও পেতে পারেন, এমনই ইঙ্গিত শোনা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতার গলায়। তিনি বলেন, “শুভেন্দুকে কোথায় নেওয়া হবে সেটা পরে ভাবা হবে।” তবে শুক্রবার দিল্লিতে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে তাঁকে যে একাধিক ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে, সেটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। যদিও কী ‘পরামর্শ’ শীর্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেটা খোলসা করেননি দিলীপ। বিজেপি নেতা জানান, “প্রতি মাসে-দেড় মাসে এসে কেন্দ্রীয় নেতারা এসে কিছু কাজ দিয়ে যান আমাদের, সেগুলো ঠিক মতো হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই ডাকা হয়েছিল।”
তিনিও আরও বলেছেন, “ব্যাপক যোগদান দলে হচ্ছে। সেটা কীভাবে হওয়া উচিত। এই ব্যাপারেও কথা হয়েছে।” অন্য দলের নেতাদের নেওয়ার বিষয়ে কি কোনও আলোচনা হয়েছে? দিলীপের সাবধানী মন্তব্য়, “সেটা আগেও হয়েছে। এই নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছে। যারা আমাদের কাজের উপযোগী, এবং সমাজে যাদের ভাবমূর্তি ঠিকঠাক রয়েছে তাদের নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: ১০০ শতাংশ রাজ্যবাসীর টিকাকরণ চান মমতা, প্রয়োজনে টাকা দেবে নবান্ন
দিনকয়েক আগের নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের সভার দৃষ্টান্ত এখনও জ্বলন্ত। স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিজেপিতে শামিল হওয়া নিয়ে যেভাবে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন, তা সিঁদুরে মেঘ দেখাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে শাহ-নাড্ডারা চান না, সেই বার্তা গতকালই পরিষ্কারভাবে দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশের পিছনে নাগপুরের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেননা আরএসএস চাইছে না দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতারা বিজেপিতে এসে গেরুয়া শিবিরকেও কালিমালিপ্ত করুক। দিলীপের কথাতেও সেই প্রতিফলনই দেখা গেল বলা চলে।
আরও পড়ুন: ‘ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি’, সরাসরি বার্তা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের