বউবাজারে বৃদ্ধ খুন: কোথাও কোনও ‘প্রমাণ রাখেনি’ আততায়ী

পুলিসের অনুমান, অত্যন্ত সতর্কভাবে গোটা ঘটনাটি ঘটিয়েছে খুনিরা। কোথাও কোনও জোরাল প্রমাণ হাতে পাচ্ছে না পুলিস।

বউবাজারে বৃদ্ধ খুন: কোথাও কোনও 'প্রমাণ রাখেনি' আততায়ী
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 21, 2021 | 11:53 AM

কলকাতা: বউবাজারে বৃদ্ধের নলি কাটা দেহ উদ্ধারের পাঁচদিন পরও খুন ঘিরে ধোঁয়াশা। এখনও পুলিসের কাছে ‘ক্লু লেস মার্ডার’ হয়েই থেকে গিয়েছে এই ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি পায় পুলিস। কিন্তু সেখানে হাতের আঙুলের কোনও ছাপ পাওয়া যায়নি। যে ঘরে ঘটনাটি ঘটে, সেখানে কোনও পায়ের ছাপও নেই। অত্যন্ত পরিকল্পনা করেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস।

গত শুক্রবার বউবাজারের ফিয়ার্স লেনের একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় আয়ুব ফিদা আলি নামে বছর পঁচাত্তরের এক বৃদ্ধের মৃতদেহ। তাঁর নলি কাটা ছিল। প্রথম থেকেই এই খুন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে তা নিয়ে ধন্দে মৃতের পরিবারও। হার্ডওয়ারের ব্যবসায়ী আয়ুবের এক ছেলে এক মেয়ে। ইদানিং ছেলেই ব্যবসা দেখেন। মেয়ে বেসরকারি এক সংস্থায় কর্মরত। ছেলে এলাকাতেই অন্য একটি বাড়িতে থাকেন। ফিয়ার্স লেনের আবাসনে বাবা ও মেয়ে থাকতেন। ঘটনার দিন মেয়ে অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে একাই ছিলেন আয়ুব। বিকেলে এক আত্মীয় এসে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ।

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় করোনা টিকা নেবেন প্রধানমন্ত্রী

দরজা ঠেলতেই ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন তিনি। এরপরই পাড়ার লোকজন আসে। খবর দেওয়া হয় বউবাজার থানায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিস। আবাসনের উল্টোদিকের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছে। কিন্তু মাঝের এতগুলো দিন কেটে গেলেও খুনের কোনও কিনারা করতে পারছে না তারা। তেমন জোরাল কোনও তথ্যই হাতে আসছে না তাদের। এমনকী সিসিটিভি ফুটেজেও কিছু নজরে আসেনি।

তা হলে আততায়ী আবাসনেরই পরিচিত কেউ কি না সে প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মাথায়। কারণ, প্রমাণ লোপাটের জন্য হাতে গ্লাভস পরে খুন করলেও গলা কেটে খুনের পর খুনির শরীরে রক্ত মাখা থাকবেই। আর সেই অবস্থায় বাইরে বেরিয়ে এলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই রক্ত ধুতে বাথরুম বা বেসিনে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাথরুম বা বেসিনে তেমন কোনও নমুনা মেলেনি।

সেক্ষেত্রে আবাসনের কেউ জড়িত থাকলে খুনের পর ওই অবস্থায় ঠান্ডা মাথায় নিজের ঘরে চলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর ঘরে গিয়ে প্রমাণ লোপাটেরও পথ খোলা। খুনি যদি পেশাদারও হয়, খুনের পর এলাকা ছাড়ার সময় কোনও না কোনও ক্যামেরায় ছবি আসবেই। কিন্তু কোনও ক্যামেরাতেই কোনও ছবি ধরা পড়েনি। এলাকার কোনও সিসি ক্যামেরায় সন্দেহভাজন কারও ছবি না ধরা পড়া এ তত্ত্বে জোর দিচ্ছে।