Britinia Company: কলকাতার ছোট্ট এক কামরার ঘর থেকে উত্তরণ! বাঙালি দুই ভাইয়ের ক্যারিশ্মাতেই ব্রিটানিয়ার ‘বিশ্বজোড়া খ্যাতি’

Britinia Company: এত দিনের পথ চলাতে হঠাৎ করেই ছেদ। তারতলার কোম্পানির দরজার বাইরে ঝুলল সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস। এক লহমায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন কারখানার ১২২ জন স্থায়ী ও ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করতেন, তাঁদের এক কালীন টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদেরকে এক কালীন ২২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

Britinia Company: কলকাতার ছোট্ট এক কামরার ঘর থেকে উত্তরণ! বাঙালি দুই ভাইয়ের ক্যারিশ্মাতেই ব্রিটানিয়ার 'বিশ্বজোড়া খ্যাতি'
ব্রিটানিয়া কোম্পানিতে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিসImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2024 | 4:36 PM

কলকাতা: ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাঙালির স্বাদে-আহ্লাদে জড়িত। স্বাধীনতার আগে থেকে ছোট্ট একটা কামরায় ব্যবসা শুরু করেছিল। পরে সেটা ব্যবসাতেই হাত পাকান ইংরেজ ব্যবসায়ী। এক কামরার ব্যবসা থেকে লিমিটেডের পথে উত্তরণ। তারপর মুম্বইতে নতুন ব্রাঞ্চ। তখনও দেশ স্বাধীনতার মুখ দেখেনি। এতটা পথ পেরিয়েছে ব্রিটানিয়া। বাংলায় সেই ব্রিটানিয়ার কোম্পানিই তাদের ১০০ বছরের বেশি পথ চলা বন্ধ করল। বন্ধ হল উৎপাদন।

১৮৯২ সালে কলকাতায় ব্রিটানিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সে সময়ে মধ্য কলকাতার একটি ছোট্ট বাড়িতে বিস্কুট তৈরি হত। প্রথমদিকে দেশীয় পদ্ধতিতে হাতে করে বিস্কুট তৈরি হত। নলীন চন্দ্র গুপ্ত ভিএস ব্রাদার্স নামে উদ্যোগটি পরিচালনা করতেন। ১৯১০ সাল থেকে মেশিনে তৈরি হতে শুরু করল বিস্কুট। ১৯১৮ সাল থেকে ইংরাজ ব্যবসায়ী সিএইচ হোমস অংশীদার হন। ব্রিটানিয়া বিস্কুট কোম্পানি লিমিটেড তৈরি হয়। ১৯২৪ সালে মুম্বইতে কারখানার প্রথম সংস্করণ হয়। তারপর দেশ ব্যাপী  ছড়িয়ে পড়তে থাকে উৎপাদন।

এত দিনের পথ চলাতে হঠাৎ করেই ছেদ। তারতলার কোম্পানির দরজার বাইরে ঝুলল সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস। এক লহমায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন কারখানার ১২২ জন স্থায়ী ও ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করতেন, তাঁদের এক কালীন টাকা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদেরকে এক কালীন ২২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ছ’ থেকে দশ বছরের নীচে যাঁরা চাকরি করেছেন, তাঁদেরকে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। তার নীচে যাঁরা চাকরি করেছেন, তাঁদেরকে ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে কোম্পানি। কিন্তু ২০০৪ সাল থেকে এই কোম্পানি ‘ক্যাজুয়াল স্টাফ’ নেওয়া শুরু করে। বর্তমানে এই কোম্পানিতে ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন।

কারখানা বন্ধের কারণ স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ। আর কর্মীরাও এই নিয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু মুখ খুলেছেন ওই কারখানাকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠা অনুসারী ব্যবসায়ীরা। ওই কারখানার পাশেই বেশ কিছু দোকান করে ব্যবসা করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চায়ের দোকান, কিংবা দুপুরের ভাতের দোকান। কারখানার কর্মীরাই সেখান থেকে খেতেন। তাতেই পেট চলত ছোটো ব্যবসায়ীদের। তাঁরাও ভেঙে পড়েছেন। এক জন বললেন, “আমাদের পেট চলত দোকান করেই। কারখানার কর্মীরাই খেতেন। এখন আর কী। যা খরিদ্দার হতেন, আর সব বন্ধ।”