Buddhadeb Bhattacharjee: ‘আমি বুদ্ধবাবুর এ বিষয়টা একদমই পছন্দ করতাম না, সাহস করে কোনওদিনও বলতে পারিনি’, আজকের দিনে কী বললেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
Buddhadeb Bhattacharjee: প্রচণ্ড অসুস্থতার মধ্যেও হাসপাতালে থাকতে চাইতেন না তিনি। জীবনের শেষ নিঃশ্বাসটাও তাই সেখানেই ফেললেন তিনি। বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শেষ হল একটা অধ্যায়ের। নস্ট্যালজিক, শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় জানালেন তাঁর আবেগঘন মুহূর্তের কথা।
কলকাতা: বাম জমানার দ্বিতীয় ও শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। পাম অ্যাভিনিউয়ের সেই ছোট্ট এক কামরার ঘর ছিল তাঁর ভীষণ পছন্দের। প্রচণ্ড অসুস্থতার মধ্যেও হাসপাতালে থাকতে চাইতেন না তিনি। জীবনের শেষ নিঃশ্বাসটাও তাই সেখানেই ফেললেন তিনি। বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শেষ হল একটা অধ্যায়ের। নস্ট্যালজিক, শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় জানালেন তাঁর আবেগঘন মুহূর্তের কথা।
বুদ্ধবাবু অত্যন্ত ধূমপান করতেন। আর সেই বিষয়টা যে একেবারেই সাহিত্যিকের পছন্দ ছিল না, তা বললেন তিনি। TV9 বাংলায় তাঁর মনের কথা জানাতে গিয়ে সাহিত্যিক বলেন, “ওঁ ভীষণ সিগারেট খেতেন। সেটা আমি লক্ষ্য করেছি। এত সিগারেট খাওয়াটা আমার খুব একটা পছন্দ হত না।” একদিন সামনাসামনি হয়েছিলেন বুদ্ধবাবুর। তিনি বলেন, “আমি দেখেছিলাম, হাতটা একটু কাঁপচ্ছে। ইচ্ছা ছিল বলি তাঁকে, যে এত সিগারেট খাবেন না, কিন্তু সেটা বলতে সাহস পাইনি। তারপর দেখলাম সিওপিডি-তে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। আপাদমস্তক একজন বাঙালি ভদ্রলোক। অত্যন্ত সৎ মানুষ।”
বুদ্ধবাবু চলে গেলেন, না ফেরার দেশে। এর আগে যতবার মারাত্মক অসুস্থতা নিয়েও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তিনি ফিরে এসেছেন। কিন্তু এবার নিজের বাড়ি থেকে এমন দেশে গেলেন, যেখান থেকে আর ফিরবেন না কখনও।