Lok Sabha Elections: কলকাতা থেকে হু হু করে কমে যাচ্ছে বাস, শুধুই কী নেপথ্যে ভোটের হাত, নাকি অন্য কারণ?
Lok Sabha Elections: ভোট পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যের প্রায় ৬৫ শতাংশ বেসরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে নির্বাচনের কাজের জন্য। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের জন্য এবং পুলিশের তরফ থেকেও নির্বাচনের কাজের জন্য বাস নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: রাত পোহালেই ভোট। সেন্টাল ফোর্সকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের নাকা চেকিং চলছে শহরের নানা প্রান্তে। এদিকে ২৯ তারিখ থেকেই আচমকা কলকাতার রাস্তায় কমে গিয়েছে বাসের সংখ্যা। তাতেই বেকায়দায় নিত্যযাত্রীরা। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই আবার চলছে টানা বৃষ্টি। সব মিলিয়ে রাস্তায় বেরিয়েও গন্তব্য পৌঁছাতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে সকলের। ৪ তারিখ পর্যন্ত কলকাতার রাস্তা থেকে প্রায় উধাও হতে চলেছে বাস এবং মিনিবাস, এবার স্পষ্টভাবেই এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিল বাস মালিকদের সংগঠন। ১ তারিখ কলকাতা-সহ বসিরহাট, দমদম, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবারে ভোট রয়েছে। নির্বাচনের কাজের জন্য সরকারের তরফ থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে অসংখ্য বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস।
সূত্রের খবর, ভোট পর্বের শুরু থেকেই রাজ্যের প্রায় ৬৫ শতাংশ বেসরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে নির্বাচনের কাজের জন্য। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের জন্য এবং পুলিশের তরফ থেকেও নির্বাচনের কাজের জন্য বাস নেওয়া হয়েছে। কলকাতার রাস্তাতেও বাসের সংখ্যা আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। নির্বাচনের কাজের জন্য কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার বাস মিনি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। যার জেরে কলকাতার রাস্তা থেকে প্রায় উধাও হতে চলেছে বাস মিনিবাস।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই জানাচ্ছেন, নির্বাচনের কাজের জন্য বাস মিনিবাস তুলেন নেওয়া হয়েছে। তাই ভোগান্তি হলেও যাত্রীদের সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই। তবে এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশও করছেন। সঙ্গে তিনি এও জানাচ্ছেন, কোভিডকালের পর থেকেই রাজ্যে বাস মিনিবাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েথে। একইসঙ্গে বাসের ভাড়া নিয়েও চলেছে টানাপোড়েন। সেই অর্থে ভাড়া বাড়ছে না অনেক বছর। তাই বাস মালিকেরা বাস তুলে নিয়েছেন।
পাশাপাশি ১৫ বছরের পুরনো বাসগুলোকে বাতিল করা হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। সেই কারণেও বাসের সংখ্যা কমেছে বলে মনে করছেন তপনবাবু। একইসঙ্গে তিনি পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন। পুলিশে জুলুমের কারণে অনেক বাস আয়ের মুখ দেখতে পাচ্ছে না। তাই অনেক মালিকই বাস তুলে নিচ্ছেন বলে তিনি জানান। তাই দ্রুত যদি সরকার পদক্ষেপ না করে অচিরে আরও সমস্যা বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি।