Bagtui Massacre: বগটুইয়ের দুই নাবালকের জামিন নিয়ে অস্বস্তিতে সিবিআই, রায় জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

CBI: সিবিআই যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়, সেখানে বলেছিল, অভিযুক্ত দুই নাবালককে শুনানির প্রথম দিনই জামিন দিয়ে দেয় নিম্ন আদালত।

Bagtui Massacre: বগটুইয়ের দুই নাবালকের জামিন নিয়ে অস্বস্তিতে সিবিআই, রায় জানিয়ে দিল হাইকোর্ট
বগটুইকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 7:15 PM

কলকাতা: বগটুইকাণ্ডে দুই নাবালকের জামিন মামলার নিষ্পত্তি করল কলকাতা হাইকোর্ট। জানিয়ে দিল, সিবিআই ও মামলাকারী চাইলে যথাযথ বেঞ্চে গিয়ে আবেদন করতে পারে। যেহেতু এই দুই নাবালক মূল মামলার সঙ্গে ‘পার্টি’ বা যুক্ত নয়, তাই তাদের বিষয়ে কিছু নির্দেশ হাইকোর্ট দেবে না। এ নিয়ে যা বলার নিম্ন আদালতেই বলার পরামর্শ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বীরভূমের বগটুইয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুই নাবালকের নাম জড়ায়। কিন্তু তাদের জামিন দেয় নিম্ন আদালত। এই জামিনকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টে যায় সিবিআই ও আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। জামিন খারিজের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এই আবেদন তাদের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।

সিবিআই যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়, সেখানে বলেছিল, অভিযুক্ত দুই নাবালককে শুনানির প্রথম দিনই জামিন দিয়ে দেয় নিম্ন আদালত। ৩০ এপ্রিল দুই নাবালকের জামিন বাতিল করার আর্জি জানানো হয়। কিন্তু সেই আর্জিও খারিজ হয়ে যায় নিম্ন আদালতে। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। অন্যদিকে আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস বগটুই নিয়ে আরও একটি মামলা করেন, সেখানেও দুই নাবালকের জামিন খারিজের আবেদন জানান।

হাইকোর্টে এই আবেদনকারীরা জানায়, নিম্ন আদালত দুই নাবালকের জামিনের কারণ হিসাবে ‘জুভেনাইল’ প্রসঙ্গে আনেনি। বরং তাদের টোটো চালক বলে ছেড়ে দেওয়া হয়। কেস ডায়েরি নেই, অথচ প্রথম দিনই নিম্ন আদালত তাদের ছেড়ে দিল বলে হাইকোর্টে জানায় সিবিআই। এমনকী দু’জনের জামিনের কোনও কাগজও দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়। তাই জামিন বাতিল করার আবেদন জানায় তারা। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিবিআই চাইলে ফের নিম্ন আদালতে আবেদন করতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের। সেই ঘটনার পর রাতেই বগটুইয়ে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরের দিন সকালে আটজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। এরপর আরও একজন মারা যান। অর্থাৎ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ১০ জনের মৃত্য়ু হয়।