High Court on Job Card Scam: ৩২৭টি চিঠি পেয়েছেন প্রধান বিচারপতি, MGNREGA-র দুর্নীতি খুঁজতে কমিটি গঠন হাইকোর্টের

High Court on Job Card Scam: সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুরুলিয়ায় এই দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া যায়। আদালত যদি সিবিআইকে নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারে।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2024 | 5:15 PM

কলকাতা: ‘মনরেগা স্কিমে’ দুর্নীতি খুঁজতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। একজন কেন্দ্রের প্রতিনিধি, একজন রাজ্যের প্রতিনিধি ও একজন অ্যাকাউন্ট জেনারেল থাকবেন সেই কমিটিতে। বৃহস্পতিবার জব কার্ড সংক্রান্ত মামলায় এই কমিটি তৈরি করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মনরেগা (MGNREGA) স্কিমের সুবিধা না পেয়ে ৩২৭ জন তাঁকে চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। গোটা রাজ্যে ভুয়ো জব কার্ড সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি। আগামী সপ্তাহে ফের শুনানি রয়েছে। মনরেগা স্কিমে অনেকেই টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩ -২৪ অর্থবর্ষে যাতে সেই স্কিমে নতুন করে কাজ শুরু হয়, হাইকোর্ট তার জন্য একটা একশন প্ল্যান তৈরি করতে বলেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে।

খেত মজদুর সংগঠনের তরফে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রমিক। আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে কথা। কাজের আবেদন জানিয়েছি কিন্তু কাজ পাচ্ছি না। কেন্দ্র নাকি রাজ্য, কারা দায়িত্ব নেবে সেটা তারাই ভাবুক। শ্রমিকদের জন্য কাজ ও উপযুক্ত পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করার আর্জিও জানানো হয়েছে।’

এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানতে চান, বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী? প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “দুর্নীতি যতই থাক, যাঁরা প্রকৃত দরিদ্র, তাঁদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।” কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হলফনামা দিয়ে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুরুলিয়ায় এই দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া যায়। আদালত যদি সিবিআইকে নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারে। বিরোধী শুভেন্দু অধিকারীর তরফে অভিযোগ, ৫৮ জন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিজেদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা নিয়েছিল, পরে সেই টাকা রাজ্যের অ্যাকাউন্টে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এজি কিশোর দত্ত জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় টিম রাজ্য থেকে ঘুরে যাওয়ার পর বেশ কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। রাজ্যের তরফে সেগুলো পাঠানো হয়। তারপরে নতুন করে আর কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। রাজ্য তদন্ত করতে গিয়ে যে টাকা উদ্ধার করেছে তা প্রকৃত প্রাপকদের দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি।