Amherst Street Case: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ড: পুলিশি নিরাপত্তায় সরকারি গাড়িতে দেহ হস্তান্তরের অনুমতি হাইকোর্টের

Calcutta High Court: আমহার্স্ট স্ট্রিট-কাণ্ডে মৃত অশোক সিংয়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মৃতের বাড়ি পর্যন্ত এবং শেষকৃত্য করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার জন্য।

Amherst Street Case: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ড: পুলিশি নিরাপত্তায় সরকারি গাড়িতে দেহ হস্তান্তরের অনুমতি হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2023 | 2:44 PM

কলকাতা: আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মৃত অশোক সিংয়ের দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। দেহ হস্তান্তরের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সেই মামলায় এবার আমহার্স্ট স্ট্রিট-কাণ্ডে মৃত অশোক সিংয়ের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মৃতের বাড়ি পর্যন্ত এবং শেষকৃত্য করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার জন্য। আদালতের নির্দেশ পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে সরকারি গাড়িতে মরদেহ নিয়ে যেতে হবে।

প্রসঙ্গত, এদিন আমহার্স্ট স্ট্রিটের ঘটনা জনস্বার্থ মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে আদালত জানায়, “আমাদের মৃত ব্যক্তির প্রতি সম্মান জানানো উচিত। কিন্তু সরকার পক্ষ উপস্থিত নেই। সরকার পক্ষ উপস্থিত থাকলে শুনানি হবে।” জনস্বার্থ মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত অশোক সিংয়ের পরিবারের আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডেও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন এজলাসে। আদালত সরকার পক্ষের কারও উপস্থিত না থাকার বিষয়টি উত্থাপন করার পর, সরকার পক্ষের আইনজীবীও উপস্থিত হন এজলাসে। সব পক্ষ উপস্থিত হওয়ার সওয়াল-জবাব পর্ব শেষে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ মৃতের দেহ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ার অনুমতি দেয়।

উল্লেখ্য, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠানোর পর হঠাৎ থানাতেই মৃত্যু হয় অশোক সিংয়ের। পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, থানায় ডেকে মারধর করা হয়েছে তাঁকে। এরপর মৃতের দেহের ময়নাতদন্তও হয়েছে এবং গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, মারধরের কোনও চিহ্ন নেই। স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে ওই ব্যক্তির।