SSC-তে আর কী কী দেখতে হবে! মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিজের স্ত্রীকেই চাকরি শিক্ষাকর্তার!
SSC Recruitment Case: ২০১১ সালে পরীক্ষা দেন সিরাজের স্ত্রী জাসমিন খাতুন। ২০১৫ সালে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। আর ২০১৯ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি বাগিয়েছেন জাসমিন। একদিকে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন দিনের পর দিন।
কলকাতা: যোগ্যদের পথে বসিয়ে চাকরি চুরি করেছেন শিক্ষাকর্তারা। এ অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু তাতে দিনের পর দিন প্রকাশ্যে আসছে নতুন ‘শেড’। এসএসসি-র পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজুদ্দিনও চাকরি চুরিতে অভিযুক্ত। অভিযোগ সিরাজউদ্দিনের স্ত্রী বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন। আদালতে বেনিয়মের কথা অস্বীকার করেছে এসএসসি-ই।
অভিযোগ, ২০১১ সালে পরীক্ষা দেন সিরাজের স্ত্রী জাসমিন খাতুন। ২০১৫ সালে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। আর ২০১৯ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি বাগিয়েছেন জাসমিন। একদিকে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন দিনের পর দিন। আর সিরাজ স্যরের স্ত্রীরা চাকরি করবেন? এমনটা কী চলতে পারে? তদন্ত যত এগোচ্ছে, পেঁয়াজের খোলার মতো বেরিয়ে আসছে দুর্নীতির খবর।
খোদ শিক্ষাকর্তা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকেই নিজের স্ত্রীকে চাকরি দিয়ে দেলেন। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার চার বছর পর কীভাবে চাকরিতে নিয়োগ? প্রশ্ন উঠছেই।
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “কীভাবে চাকরি পেলেন? সেটা স্কুল সার্ভিস কমিশনই ভালো বলতে পারবে। আর বলতে পারবেন যিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছেন। ”
এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “কোটা এক্সপেয়ারি মানে, যেটার আর কোনও মানেই নেই। ওই কোটার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ার মানে যে কোনও একটা লোককে ধরে এনে চাকরি দিয়ে দেওয়া। ফেভার যিনি করেছেন, তিনি দায়ী হবেন। এটা আইনের চোখেই সিদ্ধ।”
জাসমিন খাতুনের আবার বক্তব্য, “২০১৯ সালেই চাকরিতে জয়েন করেছি। আমি এর বিষয়ে আর বিশেষ কিছু বলতে চাই না।” তিনি তাঁর স্বামীর প্রভাবের ব্যাপারেও বিশেষ কিছু বলতে চাননি।