SSC: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ করে থাকে’, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে কমিশন

SSC: এরপরই আদালত জানতে চায়, ওএমআর স্ক্যান এসএসসির অফিসেই হয়েছিল কি না। জবাবে কমিশন জানায়, অফিসে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ডেটা স্ক্যানটেকের কথা তারা জানত না। এদিন আদালত কমিশনের কাছে জানতে চায়, 'আপনাদের কাছে এখন আর ওএমআর নেই। সিবিআই আপনাদের যে নথি দিয়েছে তার ভিত্তিতে আপনারা পদক্ষেপ করেছেন। আপনারা কি সেই নথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?'

SSC: 'অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ করে থাকে', নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে কমিশন
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2024 | 6:42 AM

কলকাতা: এসএসসি মামলার শুনানি চলছে বিশেষ বেঞ্চে। ইতিমধ্যেই সিবিআই তাদের হলফনামায় ওএমআর স্ক্যান ও মূল্যায়ণকারী সংস্থা নাইসা ছাড়া আরও এক সংস্থার উল্লেখ করেছে। সোমবার সেই সংস্থা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসিকে। আগের দিনই বিচারপতি দেবাংশু বসাক এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। সেদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছিলেন, ওই সংস্থার নাম তিনি প্রথমবার শুনলেন। আর সোমবার শুনানিপর্বে এসএসসি জানায়, ‘সিবিআইয়ের হলফনামা থেকে আমরা ডেটা স্ক্যানটেক নামক সংস্থার কথা জানতে পেরেছি। তবে আমরা ওএমআর স্ক্যান করার বরাত নাইসা নামক সংস্থাকে দিয়েছিলাম। এটা হতে পারে যে নাইসার তরফে ডেটা স্ক্যানটেকের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। তারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে থাকতে পারে। আমাদের সঙ্গে শুধুমাত্র নাইসার চুক্তি হয়েছিল।’

এরপরই আদালত জানতে চায়, ওএমআর স্ক্যান এসএসসির অফিসেই হয়েছিল কি না। জবাবে কমিশন জানায়, অফিসে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ডেটা স্ক্যানটেকের কথা তারা জানত না। এদিন আদালত কমিশনের কাছে জানতে চায়, ‘আপনাদের কাছে এখন আর ওএমআর নেই। সিবিআই আপনাদের যে নথি দিয়েছে তার ভিত্তিতে আপনারা পদক্ষেপ করেছেন। আপনারা কি সেই নথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন?’

জবাবে এসএসসি জানায়, ‘যেহেতু আমরা একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা থেকে এই নথি আদালতের মাধ্যমে পেয়েছি, তাই তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমাদের কোনও প্রশ্ন নেই। আদালত যদি কোনও নির্দেশ দেয়, আমরা সেই নির্দেশের পালন করব।’ বিচারপতি দেবাংশু বসাক মন্তব্য করেন, ‘যখনই এসএসসিকে কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা হয়, তখনই তারা চুপ করে থাকে। আদালতের নির্দেশের কি দরকার? যদি কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন থাকে, আপনারা করতেই পারেন।’