Governor CV Ananda Bose: ‘অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পের মতো…’, প্রশ্ন শুনেই রাজ্যপাল বোস বললেন
CAA: সিএএ কার্যকর হতেই বিভিন্ন মহলে এনআরসি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "ক্যা দেখিয়ে এনআরসি নিয়ে এসে কারও এখানকার কারও নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে আমরা কিন্তু চুপ থাকব না। নো এনআরসি। এনআরসি মানতেই পারি না। আর ক্যা-এর নাম করে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে এই চালাকিও আমরা করতে দেব না।"
কলকাতা: সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার প্রশংসায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, সিএএ সংসদে পাশ করা হয়েছিল। এটা আইন হিসাবে এসেছে, গণতান্ত্রিক দেশের জন্য খুবই ভাল পদক্ষেপ। সোমবার সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানিয়ে দেয়, ১১ মার্চ থেকে দেশে সিএএ বা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট কার্যকর হল। সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতের এই আইন। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, যাঁরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতেই সিএএ।
সিএএ কার্যকর হতেই বিভিন্ন মহলে এনআরসি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “ক্যা দেখিয়ে এনআরসি নিয়ে এসে কারও এখানকার কারও নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে আমরা কিন্তু চুপ থাকব না। নো এনআরসি। এনআরসি মানতেই পারি না। আর ক্যা-এর নাম করে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে এই চালাকিও আমরা করতে দেব না।”
যদিও বারবারই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন, “সিএএ-তে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। এটা নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার আইন।” অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যপালকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাঁর জবাব, “শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই আমার এক্তিয়ার সীমাবদ্ধ। অসম নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।”
সিএএ নিয়ে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কোনও বৈষম্য থাকলে তা নিয়ে প্রতিবাদ হবে। একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, আগে ভাল করে তিনি পড়বেন আইনে কী আছে, তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন রাজ্যপাল বোস। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে বলেছেন আগে তিনি কী রুল হচ্ছে তা দেখবেন। তারপর যা বলার বলবে, এটা ভাল পদক্ষেপ। আগে বুঝে তারপরই প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত। আমিও তাই মনে করি।”