Justice Abhijit Ganguly: আমার বাড়ি যদি বেআইনি হয়, সেটিও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে হবে: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Calcutta High Court: বিচারপতির নির্দেশ, শুক্রবার (আগামিকাল) বেলা ১১টায় লিলুয়ার ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে। পুলিশের উপস্থিতিতেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশ আগামী ৬ দিনের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের অংশ ভেঙে ফেলতে হবে।
কলকাতা: হাওড়ার লিলুয়ায় এক বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত মামলায় কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতির নির্দেশ, শুক্রবার (আগামিকাল) বেলা ১১টায় লিলুয়ার ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে। পুলিশের উপস্থিতিতেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশ আগামী ৬ দিনের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের অংশ ভেঙে ফেলতে হবে। উল্লেখ্য, ওই নির্মাণের ২৯৫ বর্গমিটার অংশ বেআইনি। শুধু সেই অংশটুকুই ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “একটাও বেআইনি নির্মাণ কোথাও থাকবে না। হাওড়ায় আমার নিজের বাড়ি আছে। সেটাও যদি বেআইনি হয়, তাহলে সেটাও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে হবে। ”
প্রসঙ্গত, লিলুয়ার ওই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আগেও হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। নির্মাণের বেআইনি অংশ ভাঙার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্ধ্যা ঘোষ নামে এক মামলাকারী। সেই সময় হাইকোর্টের একক বেঞ্চ বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে মামলা গিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চেও। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চও একক বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছিল। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, গত ৪ সেপ্টেম্বর পুরসভার তরফে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ফিরে আসতে হয়েছিল। পুরসভার যুক্তি ছিল, পুলিশি সাহায্য ছাড়া বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ সম্ভব নয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর বালি পুরসভা নির্মান ভাঙতে গিয়েও ফেরত আসে। পুলিশি সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় পুরসভা। সেই ঘটনায় কেন ওসি উপস্থিত ছিলেন না, সেই নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতির। যে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠছে, সেই সংস্থার ডেভেলপার ও লিলুয়া থানার ওসিকে বিকেল সাড়ে তিনটের মধ্যে এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ পেয়ে ডেভেলপার (প্রোমোটার) ও লিলুয়া থানার ওসি উভয়েই হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উপস্থিত হন।
লিলুয়া থানার ওসি বিচারপতিকে জানান, যে সময় চিঠিটি লেখা হয়েছিল, সেই সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে অন্য কোনও অফিসার চিঠি লিখে জানিয়েছিল, পুলিশ যেতে পারবে না। ওসির বক্তব্য শোনার পর, আগামিকালই ওই নির্মাণের বেআইনি অংশ পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী ৬ দিনের মধ্যে সেই কাজ শেষ করতে হবে। আগামী ২৯ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।