TET 2014: ‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে ৩০ হাজার চাকরি’, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Calcutta High Court: ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অভিযোগের একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেই শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্য, 'এই মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩০ হাজার চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়বে।

TET 2014: 'অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে ৩০ হাজার চাকরি', মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2022 | 6:11 PM

কলকাতা: বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন জানতে পারলে, চাকরি বাতিল করবে আদালত। এদিন এক মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই কড়া মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (TET Recruitment) সংক্রান্ত অভিযোগের একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেই শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘এই মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩০ হাজার চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়বে।’ কিন্তু কেন এমন কড়া মন্তব্য করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

প্রসঙ্গত, মামলাটি ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা সংক্রান্ত। ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগ হয়েছিল ২০১৬ সালে। মামলাকারীর অভিযোগ, ৮২৪ জন প্যানেলভুক্তের নম্বর মামলাকারীর চেয়ে কম রয়েছে। ভাইভা বা বোর্ডের অ্যাপটিটিউ টেস্ট ছাড়াই মামলাকারী তাঁদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন বলে দাবি। মামলাকারীর অভিযোগ মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর নিয়ে।

উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে যখন বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন প্রধান বিচারপতির এজলাসে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই সময় প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তখন প্যানেল প্রকাশিত হয়নি। পরবর্তীতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্যানেল প্রকাশিত হয়েছে। এমন অবস্থায়, মামলাকারীর বক্তব্য তিনি ১৩৯ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন, যাঁদের নম্বর প্যানেলভুক্তদের থেকে বেশি। যদিও সেই তালিকায় অনেকেই অপ্রশিক্ষিত। তবে মামলাকারীদের বক্তব্য, এমন প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন।

এই মামলার শুনানির সময়ই বিচারপতি এই কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ খতিয়ে দেখবে আদৌ মামলাকারীর তালিকার সঙ্গে বোর্ডের হিসেব মতো তালিকার সঙ্গে মিলছে কি না। আগামী ১০ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। আদালতের এই মন্তব্যের পর ফের একবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।