Municipal Election: গণনা বন্ধ নয়, তবে ফল নির্ভর করবে মামলার ভবিষ্যতের ওপর, কাঁথি পুরসভা মামলায় বলল আদালত
Municipal Election: ভোটের দিন কাঁথি পুরসভা সৌমেন্দু অধিকারীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সিসিটিভি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
কলকাতা : কাঁথি পুরভোট মামলায়, গণনা বন্ধ করা যাবে না। মঙ্গলবার এমনটাই জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। তবে কাঁথি পুরসভার ফল নির্ভর করবে, মামলার ভবিষ্যতের ওপর। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে এমনটাই বলেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ভোটের দিনের ফুটেজ সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। মামলায় কেন্দ্রীয় কমিশনকে যুক্ত করার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। কমিশনের পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে হলফনামা চেয়েছে আদালত। আগামী ১১ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে মামলার শুনানি।
এ দিন মামলার আবেদনকারী সৌমেন্দু অধিকারীর তরফে আবেদন জানানো হয়, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে হবে। ভোটের দিন কী হয়েছিল, তা জানতে কোনও স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা বা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে সেই ফুটেজ দেখাতে হবে। তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির কাছে বিজেপির আর্জি ছিল গণনা বন্ধ করে দেওয়া হোক। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানান, এখনও আর গণনা বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি নেই। বিজেপির দাবি, পুরভোটের দিন কাঁথি পুরসভায় ৯৭ টি সিসিক্যামেরার মধ্যে ৯১ টি ভাঙা হয়েছে।
বিজেপির আইনজীবী পরমজিৎ পাটোয়ারি বলেন, ‘কাঁথির প্রণব হালদার নামের এক পোলিং এজেন্ট অখিল গিরির ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। অভিযোগ, ২৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভোটের দিন সকাল ৭ টা থেকে ৯ টার সময়, যখন ভোট চলছিল, তখন সুপ্রকাশ গিরি হঠাৎ করেই ওই পোলিং এজেন্টের ওপর আক্রমণ করে।’ গালাগালি দেয় ও টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ। একাধিক প্রার্থীকে মারধর করা হয়, বুথ দখল করা হয় বলেও দাবি বিজেপির।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ন্ত মিত্র আদালতে জানান, ভোটে ১৬ জন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত ছিলেন। পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার কথা বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
কমিশনকে আদালতের প্রশ্ন, অভিযোগ পেয়ে কী করছিলেন? কোনও স্বাধীন সংস্থা দিয়ে তদন্তের বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে, কমিশন জানায়, আগে অভিযোগ সত্যি কি না সেটা দেখতে হবে। কমিশন জানায়, ১০৮ পুরসভার জন্য ১০৮ জন জয়েন্ট সেক্রেটারি স্তরের আধিকারিক ও ১৬ জন আইএএস পদমর্যাদার অফিসার নিযুক্ত হয়েছিলেন। এ দিকে, বিজেপির আপত্তি এখানেই। কেন জয়েন্ট সেক্রেটারি? আদালতের নির্দেশ ছিল আইএএস অফিসার নিয়োগ করতে হবে। কমিশনের দাবি, আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিকরাও ছিলেন, তাঁদের অধীনেই কাজ করেছেন যুগ্ম সচিব স্তরের আধিকারিকরা।
বিজেপির দাবি, ভোটের দিন শুভেন্দু অধিকারীকে বাড়ি থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি, বাধা দেওয়া হয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীকে। অন্যদিকে, এই মামলা জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।
আরও পড়ুন : Magrahat Women body Recover: মধ্যরাতে ঘুম ভাঙতেই দেখেন পাশ থেকে উধাও স্ত্রী, সকালে মিলল কাটা মুণ্ড