Bidhannagar Municipal Corporation: আইন ভেঙেই বিধাননগর জুড়ে মাথা তুলেছে শতাধিক নির্মাণ! পুরনিগমকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
Calcutta High Court: ৩০ দিনের মধ্যে বিধাননগর পুরনিগমকে বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বিধাননগর পুরনিগমের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের। পুরনিগমকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। প্রায় শতাধিক নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয় হাইকোর্টে। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন,’অবৈধ নির্মাণ হয়েই চলেছে আর বিধাননগর পুরনিগম চোখ বন্ধ করে আছে!’ বেআইনি নির্মাণ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সুমন দাস নামে বিধাননগরের এক বাসিন্দা ২০২০ সালে একটি জনস্বার্থ মামলা করে। পরে পুরনিগমের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হলেও, আদতে তা হয়নি।
৩০ দিনের মধ্যে বিধাননগর পুরনিগমকে বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ইন্সপেক্টরদের নিয়ে একটি টিম গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুরনিগমকে। ওই পুরনিগমের অন্তর্গত এলাকায় যাতে আর কোনও অবৈধ নির্মাণ না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
কতগুলি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে?
৩৯ টি প্লটে মোট ৩৩৩ টি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ উঠছে, যার মধ্যে ২০ টি সিঙ্গেল স্টোরেড বিল্ডিং বা একতলা বাড়ি, ৫৫ টি নির্মাণ দোতলা, ৬৬ টি নির্মাণ তিন তলা, ১১৩ টি নির্মাণ চার তলা, ৭৫ টি নির্মাণ পাঁচ তলা আর বাকিগুলি পাঁচতলার বেশি উঁচু।
আগেও হলফনামা দেওয়া হয়েছিল
২০২০ সালে এই ইস্যুতে মোট ২ টি জনস্বার্থ মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২১ সালে হলফনামা পেশ করেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব। ভবিষ্যতে যাতে আর এই ধরনের নির্মাণ না হয়, তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও এলাকা জুড়ে একের পর এক নির্মাণ অবৈধভাবে মাথা তুলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আগামী ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিন রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে।