CID probe: ‘কে তদন্ত করবে, তা অভিযুক্তরা বেছে নিতে পারে না’, আদালতে জোর ধাক্কা ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের
Calcutta High Court: বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিধায়করা। পাশাপাশি তদন্তভার সিবিআই বা কোনও নিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ারও আবেদন করা হয়েছিল।
কলকাতা : ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। ওই টাকার উৎস কী, তা জানতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। অভিযান চলছে। ধরপাকড়ও চলছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন বিধায়করা। পাশাপাশি তদন্তভার সিবিআই বা কোনও নিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ারও আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনে সায় নেই আদালতের। ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের সেই আবেদন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
আদালত জানিয়েছে, সিআইডির গোয়েন্দারা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে নিজেদের তদন্ত চালাতে পারবেন। পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা এদিন আদালতে জানিয়েছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কখনও তদন্তকারী সংস্থাকে বেছে নিতে পারে না। এর পাশাপাশি, ঘটনা প্রসঙ্গে যে সব মন্তব্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা করেছেন, সেগুলিও তদন্তভার হস্তান্তরের জন্য পর্যাপ্ত নয় বলেই মত কলকাতা হাইকোর্টের।
প্রসঙ্গত, মামলায় বিধায়কদের মূলত বক্তব্য ছিল, যে অভিযোগ উঠে আসছে, তাতে একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। তাহলে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কীভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে? সেই কারণ দেখিয়েই রাজ্য গোয়েন্দাদের বদলে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। তব আদালত এই বিষয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে, অভিযুক্তদের গাড়ি পাঁচলা থেকে আটক হয়েছে। ফলে তদন্ত করার ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের কোনও অসুবিধা নেই।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের ঘটনার তদন্তে নেমে কিছুদিন আগেই বিকানের বিল্ডিং-এর একটি অফিসে হানা দিয়েছিলেন সিআইডি অফিসাররা। বেশ কয়েক লাখ টাকা নগদও উদ্ধার হয়েছিল অফিস থেকে। ওই অফিসের মালিক মহেন্দ্র আগরওয়ালকে আটকও করেছে সিআইডি। রাজ্য গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে অসুস্থও হয়ে গিয়েছিলেন ওই হোটেলের মালিক।