Na Bollei Noy: মমতার মোদী সাক্ষাতে ম-ম করছে রাজনীতি! বৃষ্টির অভাবে কৃষকের কষ্ট নিয়ে ‘না বললেই নয়’

এসএসসি তদন্ত দুরন্ত এক্সপ্রেসের গতিতে ছুটছে, তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে অনেকেই রাজনীতির থেকেও বেশি কূটনীতি দেখছে।

Na Bollei Noy: মমতার মোদী সাক্ষাতে ম-ম করছে রাজনীতি! বৃষ্টির অভাবে কৃষকের কষ্ট নিয়ে ‘না বললেই নয়’
'না বললেই নয়' দেখুন TV9 বাংলায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2022 | 6:18 PM

কলকাতা: সুকুমার রায়ের অবাক জলপানের কথা মনে আছে তো? দেশের একটা বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ এই গ্রীষ্মে, সেই অবাক জলপানের মোডে চলে যায়। বিশেষত, কৃষকরা। যথেষ্ট বৃষ্টি না হলে, গাঁয়ে-গঞ্জে মুখেমুখে ফেরে একটাই কথা- মশাই একটু জল পাই কোথায় বলতে পারেন? এই বাংলায় কৃষকদের ঘরে কান পাতুন, শুনতে পাবেন, বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় ভুগছেন তাঁরা। বিশেষত দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা। বীজ শুকিয়ে যাচ্ছে। পাট কাটা হয়েছে, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে পাট পচানো যাচ্ছে না। কী হবে? না, এই মুহূর্তে পার্থ-অর্পিতাকে সরিয়ে জলকষ্টের ধারা বিবরণী শিরোনামে উঠে আসছে না। কিন্তু, পার্থ ও অর্পিতার আখ্যান যখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টা গপগপ করে গিলছে, ঠিক তখন মোদী-মমতার কথা বলতে হচ্ছে। কারণ তাঁদের দেখা হচ্ছে।

জাতীয় প্ল্যানিং কমিশনের পরিকল্পনা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজীর পরিকল্পনা বাতিল করে, নীতি আয়োগ গড়েছেন নরেন্দ্র মোদী। যে সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের একের পর এক বৈঠক এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু এবার আর এড়িয়ে যেতে পারলেন না। বৈঠকে যোগ দেবেন। আগামিকাল দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কংগ্রেস সভানেত্রীরও সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। কিন্তু, সব স্পটলাইট একটাই জায়গায়। মোদী-মমতা সাক্ষাত ঘিরেই ম-ম করছে রাজনীতি। আসলে সময়টাই এমন!

এসএসসি দুর্নীতির দুর্বিপাকে তৃণমূলের বেজায় অস্বস্তি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ফেঁসে গেছেন। বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা খুলে খাজানা পাওয়া গেছে। মানুষের সেসব কথা এখন মুখস্ত। এবার বুঝি, অপা’র উঠোন খুঁড়েও গুপ্তধন পাওয়া যাবে। কান টানলে যেহেতু মাথা আসে, তাই অনেকেরই আশা, পার্থ-র কথার সূত্র ধরে আরও কিছু কীর্তিমানের মুখোশ খুলবে। তো এহেন সময়ে, যখন এসএসসি তদন্ত দুরন্ত এক্সপ্রেসের গতিতে ছুটছে, তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে অনেকেই রাজনীতির থেকেও বেশি কূটনীতি দেখছে। বিশেষত বামেরা। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদের সূত্র ধরে, বাংলার রাজপথ থেকে গলিতে ফিরতে চাইছে সিপিআইএম। অর্থাৎ, আবার মানুষের কাছে পৌঁছতে মরিয়া বামেরা। অন্যদিকে, বিজেপি-র কথা ভাবুন। যে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলায় তাঁরা গলা ফাটাচ্ছে, সেই সরকারের প্রধান যদি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন, তখন কী জোর গলায় চেঁচানো যায়!

কাজেই, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর যে কথাই হোক না কেন! আপাতত, বঙ্গ বিজেপির মুখের কথা কেড়ে নেওয়ার একটা চাল তৃণমূল দিতেই পারে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা নন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই দিল্লি যাচ্ছেন। অভিষেক, তৃণমূল সাংসদদের সংসদে লড়়াই-এর টোটকা দেবেন। ইদানীং এই জিনিসটা বারবারই দেখা যাচ্ছে। সরকারের হয়ে প্রশাসনিক স্তরে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূলের দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নিচ্ছে অভিষেক। হালে, মন্ত্রিসভা থেকে সংগঠনের রদবদলে অভিষেকের আওয়াজ আরও বুলন্দ হয়েছে।

কিন্তু এসবের মাঝেই শুনেছেন তো খবরটা? ত্রিশোর্ধ্ব অর্পিতার প্রায় কোটি টাকার এলআইসি-র নমিনি না কি সত্তরোর্ধ্ব পার্থ চট্টোপাধ্যায়! ওদিকে অর্পিতার গয়নার বাক্স দেখেও তাজ্জব তদন্তকারীরা। এসব নিয়ে কথা হবে। রাত ৮.৫৭, টিভি নাইন বাংলায়, না বললেই নয়। দেখবেন কিন্তু।