‘বন-সহায়ক পদে নিয়োগে চরম দুর্নীতি হয়েছে’, বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

এই মামলার ভবিষ্যতের উপরই বন সহায়ক পদে যে নিয়োগগুলি হয়েছে, সেগুলিরও ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বলে জানা গিয়েছে।

'বন-সহায়ক পদে নিয়োগে চরম দুর্নীতি হয়েছে', বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 21, 2021 | 9:03 PM

কলকাতা: “বন-সহায়ক পদে নিয়োগে চরম দুর্নীতি হয়েছে।” বুধবার এই সংক্রান্ত একটি মামলা শোনার সময় পর্যবেক্ষণে এমনটাই জানান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এই মামলার ভবিষ্যতের উপরই বন সহায়ক পদে যে নিয়োগগুলি হয়েছে, সেগুলিরও ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বলে জানা গিয়েছে।

বন-সহায়ক পদে দুর্নীতির বিষয়টি মাসকয়েক আগে প্রকাশ্যে আসে। প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার পর একটি জনসভা থেকে নিয়োগে ‘কারসাজি’র অভিযোগ তোলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কার্যত এই তথ্য জনসমক্ষে আসে যে বন সহায়ক পদে নিয়োগও হয়ে গিয়েছে। প্যানেল প্রকাশ না করেই কীভাবে নিয়োগ হল এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্যাটে মামলা করেন আবেদনকারীরা। এর পাশাপাশি নিয়োগে কী ‘কারসাজি’ হয়েছে তা জানতে তদন্তে সায় দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা।

যদিও এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মমতা এবং রাজীবের মধ্যে মধ্যে তীব্র মৌখিক তরজা হয়। প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব পালটা প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দাবি করেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এসএমএস তিনি পেয়েছিলেন এবং তাতে এমন কিছু কথা বলা ছিল যা প্রকাশ্যে এলে তৃণমূল সরকারের যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এই সব কিছুর মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে আদালত কার্যত ‘সিলমোহর’ দেওয়ার ফলে বর্তমান রাজ্য সরকার এবং দলত্যাগী ও পদত্যাগী মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি যে বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন: বন-সহায়ক পদে নিয়োগে ‘কারসাজি’! তদন্তে সায় মমতার মন্ত্রিসভার

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকাকালীন বন-সহায়ক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। প্রায় ৬০,৭০০ জন পদের জন্য আবেদন করেন। মামলাকারীর আইনজীবী দেবাশীষ সাহা অভিযোগ করেন, গ্রামের নাম ভুল থাকায় কারোর আবেদন বাদ দেওয়া হয়, কাউকে আবার এসএমএস-এর মাধ্যমে নোটিস দেওয়া হয় বলে বাতিল করা হয়। বিচারপতি মামলাটি আবার ২৭ এপ্রিল শুনবেন।

আরও পড়ুন: বন-সহায়ক পদে প্যানেল ছাড়াই নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন তুলে স্যাটে মামলা