Duare Ration: ‘দুয়ারে রেশন’ বেআইনি নয়, হাইকোর্টে হাসি ফুটল রাজ্যের

Calcutta High Court: দুয়ারে রেশন প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার গ্রাহকদের বাড়ি পর্যন্ত রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার সুবিধা চালু করেছে। সেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়েই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। তাতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও জানিয়েছেন, দুয়ারে রেশন প্রকল্প আইন বিরুদ্ধ নয়।

Duare Ration: 'দুয়ারে রেশন' বেআইনি নয়, হাইকোর্টে হাসি ফুটল রাজ্যের
দুয়ারে রেশন প্রকল্পে 'স্বস্তি' রাজ্যের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 11:07 PM

কলকাতা : দুয়ারে রেশনে (Duare Ration) স্বস্তি রাজ্যের। দুয়ারে রেশন প্রকল্পে বেআইনি কিছু নেই, সোমবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দুয়ারে রেশন প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার গ্রাহকদের বাড়ি পর্যন্ত রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার সুবিধা চালু করেছে। সেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়েই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। তাতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও জানিয়েছেন, দুয়ারে রেশন প্রকল্প আইন বিরুদ্ধ নয়।

বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসেল আবেদন করা হয়েছিল, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার জন্য। উল্লেখ্য, ওই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ গণবণ্টন ব্যবস্থা (রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ) সংক্রান্ত নির্দেশ, ২০১৩-র ১৮ নম্বর ধারায় সংশোধন করা হয়েছিল। মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারেরই প্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ এবং বিতরণ নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রয়েছে। সঙ্গে আরও যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে। তবে এই ক্ষেত্রে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কোনও ক্ষমতা অর্পণ করেনি।

অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল এসএন মুখোপাধ্যায়। তিনি পাল্টা দাবি করেছেন,’দুয়ারে রেশন প্রকল্প’ হল জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের ১২ (১) ধারা এবং ভারতের সংবিধানের ১৬২ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি প্রশাসনিক নির্দেশ। রাজ্যের তরফে আরও দাবি করা হয়, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং তাদের নিজস্ব প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য দায়ী থাকবে৷ ফলে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩-এর মাধ্যমে পূর্বের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, ১৯৫৫ গ্রাহ্য হয় না। কারণ, এটি পরবর্তী আইন।

উভয় পক্ষের জমা করা তথ্য পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে, আদালত জানিয়েছে, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এবং সেখানে উল্লেখিত নিয়মগুলির পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, ১৯৫৫-এর ৩ নং ধারার অধীনে বিধিবদ্ধ আদেশগুলি পড়ার উপর, রাজ্য সরকারগুলি জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩-র আওতায় গ্রাহকদের সুবিধা বাড়ানোর অধিকারী নয়, এমন বলা যায় না।

আদালত আরও জানিয়েছে, “জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের ২৪ (২) (বি) ধারা অনুযায়ী রাজ্য সরকারগুলিকে তফসিল-১-এ নির্দিষ্ট দামে প্রাপ্য ব্যক্তিদের কাছে খাদ্যশস্যের প্রকৃত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাধ্য করে৷ তাই, রাজ্য সরকার আরও এগিয়ে কাজ করতে চায়৷ সুবিধাভোগীদের দোরগোড়ায় খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়া এই ধরনের প্রচেষ্টাকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের কোনও বিধান বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, ১৯৫৫-এর অধীনে জারি করা নির্দেশের বিরুদ্ধে বলা যাবে না।”