Mamata Banerjee : ‘পার্থদাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র’, ‘সিপিএমের অফিসার’-দের হাত দেখছেন মমতা

Mamata Banerjee :শিক্ষক নিয়োগে নিয়ে দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব তথা তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"পার্থদাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র হয়েছিল।"

Mamata Banerjee :  'পার্থদাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র', 'সিপিএমের অফিসার'-দের হাত দেখছেন মমতা
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 9:41 PM

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের তলব। সবমিলিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “পার্থদাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র হয়েছিল।” এর পিছনে সিপিআইএমের কিছু অফিসার রয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। মমতার অভিযোগের জবাব দিতে দেরি করেনি সিপিএম। প্রাক্তন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নিজেদের অপরাধ ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেও পারছেন না। তাই এরকম ভাবে অন্যের ঘাড়ে দোষ ফেলার চেষ্টা করছেন।”

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আজ বাম-বিধায়কহীন বিধানসভায় মমতা বলেন, কারও চাকরি যাক, তিনি চান না। তিনি দাবি করেন, ২০১১ সালে ক্ষমতা আসার পর তিনি বাম আমলের কারও চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। কারও চাকরিও যায়নি। পদ্ম শিবিরকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার অনেকের চাকরি ফিরিয়ে দেবে বলেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এলেও সেই চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। কারও চাকরি খাব না, এটা ত্রিপুরা নয়।”

শিক্ষক নিয়োগে নিয়ে দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব তথা তাঁর মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”পার্থদাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সিপিএম-এর কিছু অফিসার নিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষামন্ত্রীর সম্মতির কাগজে পার্থদার সইয়ের ওপরে ফাঁকা জায়গায় বাড়তি নিয়োগের কথা পরে অনৈতিকভাবে জুড়ে দিয়েছিল বলে আমাদের বিশ্বাস। ওপরে করা টাইপ আর নিচে খুদে করে নতুন নিয়োগের কথা লেখা হয়েছে।”

সূত্রের খবর, মমতা তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিধায়কদের বলে দিয়েছেন, কোনও কাগজে সই করলে উপরের ফাঁকা অংশ যেন কলম দিয়ে কেটে দেন। এখন তিনিও এটা করেন। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ থেকে তাঁরা শিক্ষা নিয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন মমতা।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একটাও আসন পায়নি সিপিএম। ফলে আজ মমতার বক্তব্য নিয়ে বিধানসভায় বলার জন্য বামেদের কেউ ছিলেন না। তবে মমতার মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেনি তারা। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “১১ বছর ধরে সরকার চালাচ্ছেন। সিপিএমের আমলের বড় অফিসাররা আর রয়েছেন কোথায় ? তাঁরা হয় বদলি হয়ে গিয়েছেন, না হলে অবসর নিয়েছেন। নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন।” এরপরই তাঁর কটাক্ষ, “যা কিছু করুন, লুটের টাকা ফেরত দিন।”